spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসসমকামিতায় অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে ফের উত্তাল ইবি

সমকামিতায় অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে ফের উত্তাল ইবি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ নারী হেনস্তা ও সমকামিতার মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় ইবনে সিনা ভবনে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে অব্যাহতভাবে।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের গগন হরকরা মিলনায়তনে ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) ড. আশরাফুর রহমানের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। সভাটি চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। তবে পরে বাদ জুমা আরেক দফা মতবিনিময় সভার প্রস্তাব শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও তদন্ত হয়েছে, যেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন তার স্থায়ী বরখাস্ত না করে আবারও নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন করছে। তারা বলেন, পূর্বের তদন্তেই প্রমাণ মিলেছে এবং তার ভিত্তিতে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি ও ইনক্রিমেন্ট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সুতরাং নতুন করে তদন্ত করে সময় নষ্ট করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বর্তমান তদন্ত কমিটি পক্ষপাতদুষ্ট, তাই তারা তা প্রত্যাখ্যান করছেন।

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বোরহান কবির বলেন, “সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে সাময়িক ছুটি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কোনো শাস্তি হতে পারে না। স্থায়ী বহিষ্কারই একমাত্র গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত।”

এ বিষয়ে ডিআইজি ড. আশরাফুর রহমান সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন (সাব জুডিস), তাই কোনো মন্তব্য করব না।”

আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামের রেডিসনে জমজমাট ঈদুল আজহা ফেস্ট

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের প্রতি অশালীন আচরণ, অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় মনগড়া নম্বর দেওয়ার অভিযোগসহ ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামিতায় বাধ্য করার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন এবং উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬তম সভায় হাফিজুল ইসলামের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল এবং এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে শিক্ষার্থীরা এই শাস্তিকে ‘লঘু’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ ২৮ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে প্রশাসন শাস্তি পর্যালোচনার আশ্বাস দেয়, যার ভিত্তিতে আবারও আন্দোলনকারীদের সাথে মতবিনিময় শুরু হয়। তবে প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের কাছে সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।