
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “সদস্য নবায়ন ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি” শীর্ষক আলোচনা সভা।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ডায়না চত্বর থেকে এক শুভেচ্ছা র্যালি বের করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে র্যালিটি আবার ডায়না চত্বরে ফিরে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল ওহাব শাহীন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাসুদ রুমী মিথুন, সাবেক সভাপতি মুমিনুর রহমান মুমিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলামসহ বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ বলেন, “গত ১৫ বছর রাজপথে একমাত্র ছাত্রদলই টিকে থেকেছে। যারা গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রাণ দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে, তাদের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা না দেখিয়ে উল্টো অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রদলকে ‘টোকাই’ বলা হচ্ছে—এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।”
আরও পড়ুনঃ রামগঞ্জে শিক্ষকদের লাঞ্ছনা—৪ দিনেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন, ক্ষোভে উত্তাল শিক্ষক সমাজ
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ছাত্রলীগের দোসররা দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ তারা কোনো শাস্তির আওতায় আসছে না। এসব অপশক্তি আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তবে ছাত্রদল আগামী দিনে সন্ত্রাসমুক্ত, শিক্ষার্থী-বান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাবে।”
জহির রায়হান আরও বলেন, “ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছাত্রসংগঠন যদি কেউ থেকে থাকে, তবে সেটা একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলই।”
আলোচনা সভায় বক্তারা সাম্প্রতিক রাজনীতি, গণআন্দোলন ও ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন এবং সদস্য নবায়নের মাধ্যমে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।