তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হল ডিবেটিং সোসাইটির ১৬ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রাহাত।

রবিবার (২৫ মে) হল প্রাধ্যক্ষ ও সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং সংগঠনের সাবেক সভাপতি দিদারুল ইসলাম কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, মোর্শেদ মামুন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী শরীফ, আহমাদ গালিব; সাংগঠনিক সম্পাদক শান্ত শিশির; যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার; দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি; সহ-দপ্তর সম্পাদক ফখরুল ইসলাম; অর্থ সম্পাদক হাম্মাদ তালুকদার; প্রচার সম্পাদক মানিক হোসেন; তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন; বিতর্ক ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ; আইন সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ এবং ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন ইমন।

নবনির্বাচিত সভাপতি নাহিদুর রহমান বলেন, “ডিবেটিং সোসাইটি একটি মেধা, যুক্তি ও ভাষার চর্চার কেন্দ্র। আমরা চাই এই সংগঠন হবে মতবিনিময় ও আলোকিত চিন্তার একটি সুশৃঙ্খল প্ল্যাটফর্ম। সকলের সমন্বয়ে আমরা এটিকে আগামীতে একটি আদর্শ বিতর্ক সংগঠনে পরিণত করব।”

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হলের করিডোরে অনুষ্ঠিত হয় আন্তঃব্লক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি দিদারুল ইসলাম রাসেল। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হল ও বিভাগের বিতার্কিক, শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ।

আরও পড়ুনঃ প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান বিল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি এ্যাব নেতৃবৃন্দের

বিতর্কের বিষয় ছিল—“এ সংসদ মনে করে দেশের স্বার্থে নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার জরুরি।” বিতর্কে সরকারি দলে অংশ নেন শান্ত শিশির, ইকবাল হোসেন ইমন, ইলিয়াস হোসেন, সুমন ইসলাম ও রুকনুজ্জামান হুমায়দী। বিরোধী দলে ছিলেন রাহাত আব্দুল্লাহ, ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, হাম্মাদ তালুকদার, তানভীর আহমেদ ও রিপন ইসলাম। বিচারক প্যানেলে ছিলেন অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, দিদারুল ইসলাম ও আবু সোহান। স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নাহিদুর রহমান এবং সময় নিয়ন্ত্রক ছিলেন আব্দুল বারী শরীফ।

বিতর্ক শেষে বিচারকদের রায়ে বিজয়ী হিসেবে বিরোধী দলকে ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের মাঝে যুক্তির চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুশীলনে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মত প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।