
মুজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধি: রাজশাহী কলেজের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর স্থাপত্যের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে একটি নাম—পদ্ম পুকুর। কলেজ ক্যাম্পাসের বুকে অবস্থিত এই জলাধার যেন প্রকৃতির এক অমলিন চিত্রপট। স্নিগ্ধ জলরাশিতে ভেসে থাকা গোলাপি, সাদা ও লাল পদ্ম আর বাহারি শাপলা ফুলের সারি যেন মনের মাঝে প্রশান্তির জোয়ার তোলে। বর্ষা আর শরৎকালে এই দৃশ্য যেন হয়ে ওঠে অতুলনীয়।
প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত প্রশাসনিক ভবনের পেছনে ছায়াঘেরা পরিবেশে অবস্থিত পদ্ম পুকুর যেন কেবল একটি জলাশয় নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তির অনন্য ঠিকানা। ভোরের আলোয় শিশিরভেজা পদ্মপাতা, পাখির কলতান আর হালকা দক্ষিণা হাওয়া—সব মিলিয়ে এটি হয়ে ওঠে এক জীবন্ত কবিতা।
কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোছা: রাবেয়া খাতুন বলেন, “পদ্মফুল শুধু একটি ফুল নয়, এটি সৌন্দর্য, পবিত্রতা ও শান্তির প্রতীক। রাজশাহী কলেজের পদ্ম পুকুর প্রতিদিন আমাদের জীবনে এক নতুন প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দেয়।”
৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান মিন্টু বলেন, “মন খারাপের দিনে, ক্লাস শেষে ক্লান্ত দুপুরে অথবা একান্ত মুহূর্তে পদ্ম পুকুর হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের নির্ভরতার জায়গা। কেবল শিক্ষার্থীরাই নয়, এই পুকুরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় আগত দর্শনার্থীরাও।”
আরও পড়ুনঃ দেশে এই প্রথম এলএমএস ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু
কলেজ প্রশাসনের সহযোগিতায় ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে পদ্ম পুকুর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ফলে এটি কেবল একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নয়, বরং হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী ও প্রকৃতির মাঝে এক গভীর আত্মিক সম্পর্কের সেতুবন্ধন।
দেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজের এই পদ্ম পুকুর যেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠেছে সৌন্দর্য, প্রশান্তি ও অনুপ্রেরণার এক প্রতীক। প্রকৃতি এখানে তার নিজের ভাষায় কথা বলে, আর শিক্ষার্থীরা সেই ভাষা হৃদয়ে ধারণ করে এগিয়ে চলে ভবিষ্যতের পথে।