মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ “ডিএস পুলে কোটা পদ্ধতি বাতিল চাই, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, সকল ক্যাডারের সমতা চাই”—এই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজশাহী কলেজ চত্বর।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী কলেজের শিক্ষকরা একঘণ্টার কলম বিরতি পালন করেন। এ সময় শিক্ষকরা কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম আলী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সেরাজ উদ্দীন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাহবুব আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
শিক্ষকরা বলেন, সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহ্বানে দেশের বিভিন্ন দপ্তরের মতো রাজশাহী কলেজও এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয়।
তারা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি প্রশাসন ক্যাডারের কিছু সদস্যের বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের অন্তত ১২ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, যা চরম বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ। এছাড়াও বরখাস্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা আরও বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা সংরক্ষণের সুপারিশ করেছে, যা ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা’র পরিপন্থী ও অন্য ২৫টি ক্যাডারের প্রতি অবিচার। এ ধরনের সুপারিশ ক্যাডারভিত্তিক বৈষম্য আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করেন বক্তারা।
আরও পড়ুনঃ তিতুমীর কলেজে পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
উল্লেখ্য, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে কৃত্য ও দক্ষতা নির্ভর পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় গঠন, ডিএস পুলে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং সকল ক্যাডারের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে। তারা জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক এবং আলোচনা সভার মাধ্যমে দাবিগুলো তুলে ধরলেও সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে কার্যকর সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তাদের।
শিক্ষকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি পূরণ না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।