spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের উদ্বোধন, ভুয়া পেইজে বন্ধে হুঁশিয়ারি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ চালু করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসকৃষকের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে টানা সাতদিন ইবি শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি

কৃষকের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে টানা সাতদিন ইবি শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ কৃষকের ন্যায্য অধিকার আদায়ে টানা সাত দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খোকন চন্দ্র বর্মন।

গত ২৫ মে থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি শনিবার (৩১ মে) টানা সপ্তম দিনে গড়ায়। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে অবস্থান করেন তিনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন খোকন।

খোকনের একক এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানীসহ বিভাগের সহপাঠী ও সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। তারা ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’, ‘খাদ্য দেয় যে, তারই মুখে খাবার নেই’, ‘কৃষকের দাম দাও, কৃষক বাঁচাও’, ‘মধ্যস্বত্বভোগী নয়, দাম পাবে কৃষকই’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

অবস্থানের পেছনে মূল কারণ ব্যাখ্যা করে খোকন বলেন, “বিশেষত উত্তরবঙ্গের কৃষকরা বাজারে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মাঠে যেখানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকায়, সেখানে তা শহরে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে কুমড়ার ক্ষেত্রেও মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বাজারে তা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এতে স্পষ্ট, লাভ নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা, কৃষক পাচ্ছে না তার প্রকৃত মূল্য।”

তিনি আরও বলেন, “এই সিন্ডিকেট শুধু কৃষকের নয়, ভোক্তারও শত্রু। তাই সরকারকে দ্রুত সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পণ্যের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করতে হবে। কৃষিপণ্য সরবরাহের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ ধোঁয়ার আড়ালে মৃত্যুর মিছিল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “খোকনের দাবি শুধু একটি ছাত্রের দাবি নয়, এটি দেশের লাখো কৃষকের কণ্ঠস্বর। উত্তরবঙ্গের কৃষকদের অবহেলার চিত্র বারবার উঠে এসেছে, এবার সময় তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার। খোকনের মতো আমরাও লড়াই চালিয়ে যাবো, যতদিন না কৃষক তার প্রাপ্য সম্মান এবং মূল্য ফিরে পায়।”

অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কৃষকবান্ধব অর্থনীতি ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শিক্ষার্থীরা। খোকন জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খুললে পুনরায় এ আন্দোলন জোরদার করা হবে।