spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আবিদের উক্তি নিয়ে ব্যঙ্গ, ক্ষমা চেয়ে ব্যাখা দিলেন পোস্টকারীরা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাস২২ ঘন্টা পর সংবাদকর্মীর ফোন উদ্ধার, তথ্য লোপাট

২২ ঘন্টা পর সংবাদকর্মীর ফোন উদ্ধার, তথ্য লোপাট

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের দুই পক্ষের মারামারির ভিডিও করতে গেলে সংবাদকর্মীর ফোন কেড়ে নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা ও দফায় দফায় সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে ২২ ঘন্টা পর কেড়ে নেওয়া ফোন ফেরতপূর্বক মোবাইলের সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লোপাট হয়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদকর্মী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতীয় দৈনিক আমাদের বার্তার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আরিফ বিল্লাহ।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ প্রক্টর অফিস থেকে ফোন ফেরত চাইলে তথ্য লোপাটের বিষয়টি সামনে আসে।

জানা যায়, গত শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি বিভাগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ মারামারির ভিডিও করতে গেলে তার মোবাইল কেড়ে নেন অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের আফসানা পারভীন তিনা। পরে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি লস্করের নিকট শিক্ষার্থীরা ফোনটি জমা দেন।

পরবর্তীতে প্রক্টরের নিকট সভাপতি ফোনটি জমা দেন। তবে দীর্ঘ ২২ ঘন্টা পর সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ প্রক্টর থেকে ফোনটি সংগ্রহ করতে গেলে গুরূত্বপূর্ণ তথ্য উধাওয়ের অভিযোগ তুলে তা গ্রহণ করেননি।

সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ বলেন, আমি প্রক্টর অফিসে যাওয়ার ২২ ঘন্টা পর আমাকে ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়। ফোনটি চালু করে দেখি ফোনটি রিসেট বা ফ্লাশ করা হয়েছে। ফোনে আমার ও আমার বাবার প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য ছিলো। তাই প্রক্টর অফিস থেকে আমি ফোনটি নেয়নি।

আরও পড়ুনঃ ইবিতে সাংবাদিকদের মারধর; ধামাচাপা দিতে আধঘন্টা পর অসুস্থের নাটক

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। একইসাথে আমাদের ফোনের সমস্ত তথ্য ফেরতপূর্বক ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে ফোন কেড়ে নেওয়ায় অভিযুক্ত আফসানা পারভীন তিনা বলেন, বিভাগের স্যাররা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তাই এ-ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিভাগের শিক্ষকরা আমাদের নিকট ফোন জমা দেন। পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে ফোন ফেরত দিয়েছি। কিন্তু অফিসেই সে ফোন চালু করলে দেখা যায় ফোনে কোনো তথ্য ছিল না। পরবর্তীতে সে আমাদের নিকট ফোন রেখে যায়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক আরিফের মোবাইল কেড়ে নিয়ে দফায় দফায় তিন সাংবাদিককে মারধর করেছে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।