spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আবিদের উক্তি নিয়ে ব্যঙ্গ, ক্ষমা চেয়ে ব্যাখা দিলেন পোস্টকারীরা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসশহিদ জিয়ার ছবি অবমাননা ও তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের প্রতিবাদে ইবিতে...

শহিদ জিয়ার ছবি অবমাননা ও তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব ও শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো, জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার, এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে, পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, রাজাকার আর স্বৈরাচার মিলেমিশে একাকার; স্বৈরাচার গেছে যেই পথে, রাজাকার যাবে সেই পথে; একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; বাংলাদেশের অপর নাম, জিয়াউর রহমান ইত্যাদি স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ইবির জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। এসময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদসহ বিভিন্ন স্তরের বিএনপিপন্থি শিক্ষক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবির উপর পদাঘাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেভাবে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা করে তারা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে অপমানিত করেছে।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী একটি সুন্দর বাংলাদেশ চেয়েছিলাম কিন্তু পতিত হাসিনা সরকারের দোসর এবং একাত্তরের মানবতাবিরোধী শক্তি এবং চব্বিশের মানবতাবিরোধী শক্তি স্বৈরাচার আর রাজাকার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। একটা পাকিস্তানি গোষ্ঠী ও বটচক্র দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন রিউমার ছড়াচ্ছে এবং তাকে অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। তারা এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধারণ করে না। তাদের ঠিকানা বাংলাদেশ নয়, তাদের ঠিকানা দিল্লি আর পাকিস্তান।

সাদা দলের আহ্বায়ক এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার উত্তরসূরী তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে যা ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ১৯৭১ সালে অনেকে গাদ্দারি করেছে, অনেকে ২৪শের ৫ আগস্টে গাদ্দারি করেছে। গাদ্দারি যদি বন্ধ না করেন, আমাদেরকে ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যেতে বাধ্য করবেন না। আমরা গুপ্ত থেকে ও চৌর্যবৃত্তি না করে প্রকাশ্যে থেকে বিগত ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। এর জন্য মামলা, হামলা নির্যাতনের করেও আমাদের দমিয়ে রাখতে পারে নাই। সুতরাং এমন শক্তিকে পিছন থেকে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকবেন না, যাতে বাংলাদেশ থেকে সমূলে ফ্যাসিস্টের মতো বিদায় করে দিতে হয়।

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে মুজিব ভাস্কর্যের স্থানে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’

জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুজ্জামান বলেন, সারাদেশের যে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি তারা চাচ্ছে উস্কানি দিবে আমরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের আক্রমণ করলে নির্বাচন বানচাল করতে পারবে। আমাদের এ পরিস্থিতি বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবেলা করতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যেন কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য প্রশাসনের সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।

জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, সোহাগ হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামি মঈনকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু মঈনের সঙ্গে আমরা এনসিপির দুইজন নেতার ছবি দেখতে পাই। তাহলে আমরা কি মনে করতে পারি না, যে এই হত্যাকান্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটনো হয়েছে এবং এর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে বিএনপির উপরে। শহীদ জিয়াউর রহমান যদি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু না করতেন তাহলে আজকে যারা রাজনীতির নামে এসব করতেছেন তারা কি রাজনীতির সুযোগ পেতেন। তিনিই আপনাদের এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তাকেই আপনারা অপমান করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এর পরেও যদি আপনারা এসব কুরুচিপূর্ণ কথা ও অবমাননা চালিয়ে যান আমরা এর দাঁত ভাঙা জবাব দিবো।

সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট শহীদ জিয়াউর রহমানকে অবমাননা ও তারেক রহমান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান তারা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একাংশ শিক্ষার্থী কর্তৃক সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা।