spot_img

― Advertisement ―

spot_img

গোপালগঞ্জে এনসিপি’র নেতাদের উপর হামলা, ইবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে ‘আওয়ামী ন্যারেটিভ ধ্বংসের দিন’ স্মরণে মিছিল, স্লোগান মুখর ক্যাম্পাস

ইবিতে ‘আওয়ামী ন্যারেটিভ ধ্বংসের দিন’ স্মরণে মিছিল, স্লোগান মুখর ক্যাম্পাস

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার! রাজাকার!”— এমন স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। ১৪ জুলাইকে ‘আওয়ামী ন্যারেটিভ ধ্বংসের দিন’ হিসেবে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি প্রতীকী প্রতিবাদী মিছিল।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা “কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার”, “চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার”, “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”, “আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম”, “দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ”, “আওয়ামী লীগের ঠিকানা, বাংলাদেশে হবে না”, “কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার”— এমন নানা স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন।

মিছিলে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, তানভীর মাহমুদ মন্ডল, গোলাম রব্বানী, মোবাশশির আমিনসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুনঃ বাবাকে হারিয়েও দমেননি রাজশাহী কলেজের মোহাম্মদ আলী, সামলাচ্ছেন পরিবার ও লেখাপড়া

মিছিল শেষে সমাবেশে সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এই দিনেই সরকার আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে গালি দিয়েছিল। আমরা কেউ তখনও বুঝে উঠতে পারিনি, একটি ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলেই কীভাবে এক রাষ্ট্রশক্তি এভাবে অপমান করতে পারে। এই অপমানই তখন আন্দোলনের বাঁকবদলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই রাতেই ছাত্ররা রাজপথে নেমে এসে দেখিয়ে দেয়, অপমানের জবাব রাজপথেই দেওয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, ১৪ জুলাইয়ের এই দিনটি বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকুক একটি প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে।”