
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক এসে আধঘন্টা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা
মিছিলে তারা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, গোপালগঞ্জের কবর খোঁড়’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, আওয়ামীলীগ কবর দে’, লীগ পাবি যেখানে ধোলাই হবে সেখানে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমাদের সম্মুখ সারির সহযোদ্ধা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিল। কিন্তু পুরনো স্টাইলে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ তাদের উপর নির্মম হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। আমরা যদি একতাবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবেলা করতে না পারি তাহলে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ থেকে আওয়ামীলীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ইবিতে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, চব্বিশের জুলাই গণ অভ্যুন্থানে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটালেও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারিনি। এর অন্যতম উদাহরণ আজকের গোপালগঞ্জে জুলাই বিপ্লবের সম্মুখ যোদ্ধাদের উপর হামলার মাধ্যমে আমরা তা বুঝতে পারছি। এটি হওয়ার কারণ আমাদের অনেকের মাঝে এখনো আওয়ামী প্রীতি রয়ে গিয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার জায়গায় সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারকে জানাতে চাই। অবিলম্বে গোপালগঞ্জের ডিসি-এসপিকে প্রত্যাহার করতে হবে। হামলায় জড়িতদের দ্রুতসময়ে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশদের সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।’
এছাড়া তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর এখন পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গোপালগঞ্জের মতো আওয়ামী প্রীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। যারা জুলাই আন্দোলনে ‘আর নয় হেলা ফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা’ বলে স্লোগান দিয়েছে, প্রশাসন এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অনতিবিলম্বে জুলাই বিরোধীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এমনকি গোপালগঞ্জের মতো ইবি থেকেও ফ্যাসিবাদের চিহ্নগুলো ধ্বংস করা হয়নি। আমর প্রশাসনকে আহ্বান করছি ৩/৪ কার্যদিবসের মধ্যে ফ্যাসিবাদের চিহ্নগুলো ধ্বংস করতে হবে।