মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ “গুপ্ত সংগঠন দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে” — এমন মন্তব্য করেছেন রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বেলা ১২টায় রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়েছি, সেখানে একটি গুপ্ত সংগঠন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে তারা নানা ছলে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিগত ১৬ বছর ধরে ছাত্রদলই রাজশাহী কলেজে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে অবস্থান করছে। শুধু জুলাই আন্দোলন নয়—আমরা হাজারো নির্যাতন, জেল-হুলিয়া মাথায় নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় লড়াই করেছি।”
আবির বলেন, “তারা বলে প্রতিবছর তাদের কমিটি হয়, অথচ গত ১০ বছরে আমি এই কলেজে তাদের কোনো সভাপতি-সেক্রেটারিকে দেখিনি। এখন তারা ক্রেডিট নিতে চায়! ৫ আগস্টের পর সাধারণ শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে তারা কলেজে মব তৈরি করেছিল। এখনো তারা মিথ্যা কথা বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে, ক্যাম্পাসকে অশান্ত করতে চাইছে।”
মিটফোর্ডে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেও রাজশাহী কলেজ ছাত্রদল মিছিল করেছে বলে জানান তিনি। তবে সেই ঘটনাকেও ব্যবহার করে গুপ্ত সংগঠনটি রাজশাহী কলেজে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুনঃ ইবির হল পুকুর থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
ছাত্রদলের কোনো সদস্য ছাত্রলীগের মতো অবৈধভাবে বা ফ্রি হোস্টেলে থাকে না দাবি করে আবির বলেন, “ছাত্রদলের সবাই বৈধভাবে হোস্টেলে অবস্থান করে এবং কলেজ প্রশাসনকে নিয়মিত অর্থ পরিশোধ করে। অথচ সামাজিক মাধ্যমে তারা বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে—ছাত্রদলের সবাইকে হোস্টেল থেকে বের করে দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের অতীত খতিয়ে দেখলে দেখা যায়—তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যদিও তারা দাবি করে ছাত্রলীগ করে না এবং জোর করে মিছিলে নেওয়া হয়েছিল। অথচ আমরা কেউ কখনো ছাত্রলীগের কাছে মাথা নত করিনি।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিকুজ্জামান প্রীতম, ছাত্রনেতা সামিউল ইসলাম শিমুল, জাহিদ হাসান, সারোয়ার আলম সাফি, রুহুল আমিন ও জুবায়ের রশিদ প্রমুখ।