spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির জুলাই বিরোধীদের শাস্তি চায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকবৃন্দ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকায় থাকা ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩৩জন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসশিক্ষার্থীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ইবির বাঘিনীদের বিক্ষোভ 

শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ইবির বাঘিনীদের বিক্ষোভ 

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন করেছে আবাসিক ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে খালেদা জিয়া হলের অভ্যন্তরে আন্দোলন শুরু করে। পরে উম্মুল মুমিনীন আয়শা সিদ্দিকা( রা.) হল ও জুলাই ৩৬ হলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘পুকুরেতে ভাসছে লাশ, প্রশাসনের নেই লাজ’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করো, শিক্ষার্থীদের রক্ষা করো’, ‘বহিরাগত বন্ধ করো, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘শিক্ষার্থীরা মর্গে, প্রশাসন সবাই স্বর্গে,’ সিসিটিভি নেই কেন, জবাব জবাব চাই,’ ‘সুষ্ঠু তদন্ত না হলে, ঝুলবে তালা হলে হলে,’ ‘কাজ না করে বেতন নেয়, বেতন কি তা হালাল হয়,’ ‘তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ,’ ‘প্রশাসনের তালবাহানা, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহকে আমরা হারিয়েছি। আজ আমার ভাই মারা গেছে কাল আমি বা আপনি মারা যাবো না তার নিশ্চয়তা কোথায়। সাজিদ ভাইয়ের লাশ উদ্ধারে প্রশাসন যথেষ্ট গাফিলতি করেছে। আমরা মনে করি সাজিদ ভাইয়ের কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেনি। তাই প্রশাসন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।

এছাড়া তারা বলেন, প্রশাসনের কেবল আমাদের সন্ধ্যার মধ্যে হলে ঢুকার নিরাপত্তা চোখে পড়ে। অথচ আমাদের ক্যাম্পাসে লাইট নাই, কোনো প্রকার নিরাপত্তা নাই। অনেক সময় বহিরাগত দ্বারা আমরা লাঞ্চিত হই। এদিকে প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। এসময় নিরাপদ ক্যাম্পাস, বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ, পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুনঃ ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শিবিরের টর্চলাইট মিছিল

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সাড়ে ৬ টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে ইবি থানা পুলিশের উপস্থিতিতে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ৮টায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ড. সুতাপ রায় উদ্ধারকৃত লাশকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তিনি জানান, পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, সাজিদ একজন দক্ষ সাঁতারু ছিলেন। এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না। সাজিদের অকাল মৃত্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ জিয়া পরিষদ, শাখা ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী গভীর শোক প্রকাশ করে প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত করে সত্য ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানান।