spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির জুলাই বিরোধীদের শাস্তি চায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকবৃন্দ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকায় থাকা ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩৩জন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে জাস্টিস ফর সাজিদ'র অংশ হিসেবে অ্যালবাম প্রদর্শনী 

ইবিতে জাস্টিস ফর সাজিদ’র অংশ হিসেবে অ্যালবাম প্রদর্শনী 

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ‘জাস্টিস ফর সাজিদ’ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় স্মৃতিমূলক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।

রোববার (২৭ জুলাই) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ‘ECHOES OF SAJID’ শিরোনামে এই আয়োজনে সাজিদের সহপাঠী, বন্ধু ও শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ডকুমেন্টারিতে সাজিদের কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত, কাওয়ালী, হামদ, নাতে রাসূল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ নানা কর্মকাণ্ডে তার সাহসিক ভূমিকা ফুটে ওঠে। সেই সঙ্গে প্রদর্শিত হয় হল পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার, মেডিকেলে নেওয়া, জানাজা ও দাফনের দৃশ্য এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ আন্দোলনের বিভিন্ন স্মৃতি।

এক শিক্ষার্থী ডকুমেন্টারি দেখে বলেন, “আমি সাজিদকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না, কিন্তু আজকে ওর স্মৃতিগুলো দেখে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমরা যেন সবাই ওর পরিবারের বেদনা অনুভব করতে পারছি।”

উপস্থিত সাজ্জাদ সাব্বির বলেন, “সাজিদের মৃত্যুর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় ক্যাম্পাসে যেন কিছুই ঘটেনি—এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সাজিদের জায়গায় আমরা কেউও হতে পারতাম। বিচারহীনতার সংস্কৃতিই তাদের সাহস জুগিয়েছে। তাই আমরা চাই দ্রুত তদন্ত ও বিচার হোক।”

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং স্বাধীন ‘বাংলাদেশ পুলিশ কমিশন’ গঠনে ঐকমত্যঃ আলী রীয়াজ

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে নেমে আসে শোকের ছায়া ও উত্তাল প্রতিবাদ।

ঘটনার পরদিন ১৮ জুলাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি এবং হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

সর্বশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) ফের এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলে ধরেন এবং চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস আদায় করেন।