spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের উদ্বোধন, ভুয়া পেইজে বন্ধে হুঁশিয়ারি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ চালু করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাস“যখন টাকা খাওয়া যাবে তখন শিক্ষক নিয়োগ দেবেন?” — প্রশ্ন ইবি শিবির...

“যখন টাকা খাওয়া যাবে তখন শিক্ষক নিয়োগ দেবেন?” — প্রশ্ন ইবি শিবির নেতার

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগে স্থবিরতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান। তিনি অভিযোগ করেন, ভিসি নিয়োগের পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষক নিয়োগে এগিয়ে গেলেও ইবিতে এখনো পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তার ভাষায়, “আপনারা কী সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন, যখন টাকা খাওয়ার সুযোগ হবে, তখনই শিক্ষক নিয়োগ দেবেন? এই সমস্ত তালবাহানা আর চলবে না।”

রোববার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার আলোকে ক্যাম্পাস সংস্কার’ দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শিক্ষক সংকট প্রসঙ্গে মাহমুদুল হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিভাগে মাত্র দুইজন শিক্ষক রয়েছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো শিক্ষক নিয়োগের জন্য কোনো সার্কুলার পর্যন্ত দেয়নি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা ইতোমধ্যে প্রফেসর হয়ে গেছেন, আর আমরা এখনো সার্কুলারের অপেক্ষায় বসে আছি।”

ছাত্র সংসদ গঠন নিয়েও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। “ইবির পরে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ এখানে এখনো আইনের দোহাই দিয়ে সময়ক্ষেপণ চলছে। প্রশাসন যদি মনে করে ছাত্র সংসদ হলে তাদের চেয়ার চলে যাবে, তাহলে বুঝে রাখা ভালো—ছাত্ররাই আপনাদের চেয়ারে রাখবে, আর না হলে হাসিনার মতো সরিয়ে দেবে,” বলেন শিবির সভাপতি।

আরও পড়ুনঃ বেরোবি ছাত্রলীগ নেত্রীর পাস কেলেঙ্কারি: তদন্তে ধীরগতি, ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা

তিনি আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লবের এক বছর পার হলেও ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা ভেবেছিলাম, বিপ্লবের পর আমরা নিরাপদ থাকব, কথা বলার অধিকার পাবো, চিকিৎসা কেন্দ্র সংস্কার হবে, সনদপত্র তুলতে আর ভোগান্তি হবে না। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। প্রশাসন কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি।”

সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়েও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ক্যাম্পাস কতটা অনিরাপদ হলে আমাদের ভাইয়ের লাশ পুকুরে পাওয়া যায়! অথচ এখনো কোনো নির্ভরযোগ্য ফুটেজ বা তথ্য দিতে পারেনি প্রশাসন।”

সমাবেশে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ ও দাবি জানান। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘পুকুরে লাশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাজিদ হত্যার তদন্ত, করতে হবে করতে হবে’, ‘ইবিতে ছাত্র সংসদ, চালু কর করতে হবে’, ‘গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াও’, ‘অনলাইন পেমেন্ট চালু কর, ভোগান্তি দূর কর’ ইত্যাদি।

অবশেষে বক্তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নিরাপদ ক্যাম্পাস ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার বাস্তবায়নে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ জানিয়ে বিদায় জানাতে বাধ্য হবে।”