spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের উদ্বোধন, ভুয়া পেইজে বন্ধে হুঁশিয়ারি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ চালু করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে জুলাই শহিদ পরিবার নিয়ে মতবিনিময় ও স্মৃতিচারণ, বিচার দাবি

ইবিতে জুলাই শহিদ পরিবার নিয়ে মতবিনিময় ও স্মৃতিচারণ, বিচার দাবি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্র-শিক্ষক সংহতি দিবস উপলক্ষে জুলাই শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় ও স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ১৭টি শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে আটক হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেয় প্রশাসন।

রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসময় তারা বিভিন্ন স্মৃতিচারণসহ স্বজনদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ন্যায়বিচার এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. শাহীনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সাবেক সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মৃতিচারণে শহিদ রাকিবুল হোসেনের বাবা মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমার ছেলে শহিদ ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুল হোসেন ১৯শে জুলাই মিরপুর ১০ নাম্বার গোলচত্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন। ছেলের বিভিন্ন স্মৃতি বারবার মনে আসে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় শহিদ হওয়া সবুজ হোসেন স্ত্রী রেশমা খাতুন বলেন, স্ত্রী-সন্তানের মায়া ত্যাগ করে আমার স্বামী আন্দোলনে গিয়েছিল। ফ্যাসিস্টের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি শহিদ হয়েছেন। তাকে হত্যার বিচার চাই। আমরা শহিদ পরিবারের সদস্যরা কারো থেকে কোনো অনুদান চাই না। আপনারা তাদের পর্যাপ্ত সম্মানটুকু দিবেন এটাই চাওয়া।

আরও পড়ুনঃ সাভারে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে বিএনপির গণসংযোগ

উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে জুলাইয়ের স্পিরিটকে আমরা যেন ভুলে না যাই। অন্যথায় আবার সেই ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আপনারা সবাই জাগ্রত থাকবেন। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। আমাদেরকে ইস্পাত কঠিন শপথ নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করতে হবে।

বাংলাদেশের ক্রিয়াশীল সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আপনারা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ুন। তা না হলে শহীদের রক্তের ঋণ শোধ হবে না। ছাত্র ভাইদের কাছে আবেদন, যে মুক্তি আমরা পেয়েছি, এই মুক্তিকে আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জনতার আকাঙ্ক্ষা, জনতার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন যদি তাদেরকে পূরণ করতে হয়, তাহলে জনগণের দাবির পাশাপাশি তাদেরকেও ঐক্যবদ্ধভাবে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই শহীদ পরিবারকে আগামী দিন স্মরণ রাখতে। এই শহীদ পরিবারকে যেন আমরা ভুলে না যাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা আমরা পরিবর্তন করেছি। শহীদ পরিবার, শহীদদের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য স্থাপনাগুলো শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে শহীদদের নামেই নামাঙ্কিত হবে। যারা বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, যারা রক্ত দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার জন্যে, তাদের নামে নামাঙ্কিত হবে।

অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারদের উপহার এবং গ্রেফতার বরণকারী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।