spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আবিদের উক্তি নিয়ে ব্যঙ্গ, ক্ষমা চেয়ে ব্যাখা দিলেন পোস্টকারীরা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসনানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা স্মরণ করেছে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার রক্তঝরা আন্দোলন এবং সেই বিপ্লবের শহীদদের।

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর নেতৃত্বে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে এসে মিলিত হয়। র‍্যালিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন, বিভাগ, আবাসিক হল ও শিক্ষক-কর্মকর্তারা পৃথক ব্যানারে অংশগ্রহণ করেন। এরপর মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

র‍্যালি শেষে মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া প্রশাসনের উদ্যোগে সম্পাদিত ‘জুলাই স্মৃতিকথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং টিএসসিসিতে উদ্বোধন করা হয় ‘জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা’।

আরও পড়ুনঃ বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে হবেঃ দেলোয়ার হোসাইন

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, গ্রীন ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুনঃ

আলোচনা সভায় বক্তৃতা দেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, ”যারা স্বৈরাচারের দোসর ছিল এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে জঙ্গি কার্যক্রম বলে অপপ্রচার চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এসব দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্টদের চিহ্নিত করতে এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাস থেকে যেমন ফ্যাসিস্ট শক্তি হটানো হচ্ছে, ইবিতেও তা হবে।”

প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মিলিটারি ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছে তারা বুলেটকে ভয় পায় না। আবু সাঈদ দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে বুক চিতিয়ে রক্ত দান করতে হয়। এই তারুণ্যকে সংগঠিত করতে পারলে কোনো বহিঃশত্রু আমাদের দেশের দিকে তাকানোর সাহস পাবে না।”

আলোচনা সভা শেষে জুলাই বিপ্লব বিষয়ক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়