spot_img

― Advertisement ―

spot_img

সাজিদ হত্যা মামলার তদন্তভার সিআইডি’কে হস্তান্তর

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যা মামলার তদন্তভার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।গত ৩ সেপ্টেম্বর...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবির বাজেটের ৭৭.৭৭ শতাংশ বেতনভাতা-পেনশনে, গবেষণায় মাত্র ১.৬৩ শতাংশ

ইবির বাজেটের ৭৭.৭৭ শতাংশ বেতনভাতা-পেনশনে, গবেষণায় মাত্র ১.৬৩ শতাংশ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ১৯২ কোটি ২২ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরে বরাদ্দকৃত বাজেটের তুলনায় ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বেশি।

বাজেটে পূর্বের তুলনায় ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪৮ লাখ, যা মোট বাজেটের ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অন্যদিকে পূর্বের তুলনায় মাত্র ৩৪ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেলেও বরাবরের মতোই উপেক্ষা করা হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতকে। এতে বরাদ্দ রয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যা মূল বাজেটের ১.৬৩ শতাংশ।

এছাড়া বাজেটে ছাত্রকল্যাণ তহবিল বাবদ কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। এতে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলো বরাবরের মতো অবহেলিত বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

অর্থ ও হিসাব শাখা সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত বাজেটের মধ্যে ১৮১ কোটি ৭২ লাখ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আসবে ১০ কোটি ৫০ লাখ। বাজেটে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বিশেষ সুবিধা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২ কোটি ৭ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৬৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর পেনশন বাবদ ২৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। সবমিলিয়ে বাজেটের ৭৭.৭৭ শতাংশ ব্যয় হবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, পেনশন ও বিশেষ সুবিধা প্রদানে।

অন্যদিকে বাজেটে গুরুত্ব পায়নি গবেষণা-উদ্ভাবন ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলো। গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তায় ৩৮ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.১৯ শতাংশ।

এছাড়া বাজেটে পণ্য ও সেবা (সাধারণ ও মেরামত) ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ১৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যন্ত্রপাতি অনুদান খাতে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ। যানবাহন বাবদ ৫২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুদান বাবদ ৪০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ। অন্যান্য মূলধন অনুদান বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ।

আরও পড়ুনঃ বেরোবিতে কাল নবীনদের ক্লাস শুরু, র‍্যাগিংয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রশাসনের

বাজেটের বিষয়ে আইন বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, ‘বাজেটের সিংহভাগই ব্যয় হবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বাতা ও পেনশন বাবদ। অন্যদিকে শির্ক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের চাহিদা কোনোভাবেই পূরণ সম্ভব নয়।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফ বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অবশ্যই গবেষণা ও শিক্ষার্থীবান্ধব হওয়া উচিৎ। কিন্তু দেখা যায় প্রতিবারই গতানুগতিক একই ধরনের বাজেট হচ্ছে। খাতগুলো আগের মতোই অবহেলিত থাকছে। ভবিষ্যতে বিষয়টি মাথায় রেখে বাজেট চাহিদা দেওয়া উচিৎ।

অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক আনার পাশা বলেন, গবেষণা ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে আমরা চাইলেই অনেক বেশি চাহিদা দিতে পারিনা। আর চাইলেই যে ইউজিসি দিয়ে দেবে বিষয়টাও এমন না। তারা আগের বাজেটের সাথে তুলনা করেই বরাদ্দ দিয়ে থাকে। তাই আমরা চাহিদা দেওয়ার সময় আগের তুলনায় বাড়িয়েই দিয়ে থাকি। ইউজিসি সেখান থেকে কাটচাট করে একটা অংশ বরাদ্দ দেয়। আর এবার বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা আগের তুলনায় কঠোর ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউজিসিকে এক বছর আগেই বাজেট চাহিদা দিতে হয়। এই বাজেট আগের প্রশাসনের দেওয়া। সামনে আমরা যদি প্রশাসনে থাকি তাহলে অবশ্যই শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাজেটের সার্বিক পর্যালোচনা নিয়ে আমরা খুব শীঘ্রই উপাচার্যের সাথে আলোচনায় বসবো।

গত ১৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর নিকট বাজেট হস্তান্তর করেন ভারপ্রাপ্ত হিসাব পরিচালক আনার পাশা। উপাচার্যের কার্যালয়ে বাজেট বই হস্তান্তরকালে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।