spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির জুলাই বিরোধীদের শাস্তি চায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকবৃন্দ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকায় থাকা ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩৩জন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসকাল ফল প্রকাশসহ তিন দফা দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কাল ফল প্রকাশসহ তিন দফা দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ দ্রুত সেমিস্টার পরীক্ষা গ্রহণ ও পরীক্ষার ফল প্রকাশসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-ফিকহ্ এন্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে দুপুর ১টায় বিভাগের অফিস রুম ও সামনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এসময় বিভাগের শিক্ষকদের খামখেয়ালিপনার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের দাবি আগামীকালের মধ্যে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল দিতে হবে। আগস্টের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ করতে হবে এবং আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বেশিরভাগেরই অনার্স সম্পন্ন হলেও আল-ফিকহ্ এন্ড ল বিভাগের
২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট এখনও হয়নি। গত ২১ মে চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়ে ৭ জুলাই পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার একমাস পেরোলেও ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০১৯-২০ বর্ষের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা গত ২৮ জুন হওয়ার কথা থাকলেও তা নিশ্চিত করতে পারেনি বিভাগটি। পরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় এ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করলেও কার্যত কোনো ফল মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা বেলা ১২ টার দিকে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরে দুপুর ১টায় বিভাগের অফিস রুম ও সামনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ ইবির বাজেটের ৭৭.৭৭ শতাংশ বেতনভাতা-পেনশনে, গবেষণায় মাত্র ১.৬৩ শতাংশ

শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগের শিক্ষকদের অবহেলার কারণে তাদের সেশনজট কোনোভাবেই কাটছে না। শিক্ষকদের বারংবার অবগত করলেও কোনো ধরণের সুফল মেলেনি। শিক্ষকরা বারবার বিভিন্ন অযুহাতে পরীক্ষা নিতে এবং ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা করে থাকেন।

তারা বলেন, একমাসের বেশি সময় আগে আমাদের পরীক্ষা শেষ হলেও এখনও আমরা রেজাল্ট পাইনি। শিক্ষকরা আমাদেরকে গত সপ্তাহে রেজাল্ট দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও রেজাল্ট দিতে পারেনি। আমরা অতিদ্রুত চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট এবং আগস্টের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা বাস্তবায়ন চাই।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, সোমবারের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে। আর পরের সেমিস্টার পরীক্ষা কীভাবে দ্রুত নেয়া যায় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে।