spot_img

― Advertisement ―

spot_img

নারী কেলেঙ্কারিতে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

বেরোবি প্রতিনিধিঃ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ক্যাম্পাসে আলোচিত কিক স্কলারশিপ প্রোগ্রামের কোর্স ইন্সট্রাক্টর এবং কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রহমত আলী নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসনারী কেলেঙ্কারিতে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

নারী কেলেঙ্কারিতে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

বেরোবি প্রতিনিধিঃ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ক্যাম্পাসে আলোচিত কিক স্কলারশিপ প্রোগ্রামের কোর্স ইন্সট্রাক্টর এবং কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রহমত আলী নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক মেসেজ বিনিময়ের অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সম্প্রতি রহমত আলীর ব্যক্তিগত মেসেঞ্জার কথোপকথনের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি এক নারী শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে বারবার অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছেন।

এক পর্যায়ে তিনি লিখেছেন— “তোমার প্রতি আমার প্রবল আকর্ষণ, আই নিড ইউ, নরমালি ই আমার প্রেমিকাকেও আমি না ছুঁতে প্রতিজ্ঞ, জানি না তুমি কিভাবে নাও, আমি সত্যিই তোমাকে কামনা করি, আমার সাথে থাকবে তো…”।

এমন কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, স্কলারশিপ প্রদানের কথা বলে তিনি নারী শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপে ফেলতেন।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ ঘটনা নিয়ে জার্মানভিত্তিক সংস্থাটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন (২২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংস্থাটি রহমত আলীকে বহিষ্কার করেছে।

অভিযোগ শুধু অনৈতিক মেসেজিংয়েই সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, তিনি নিয়মিত ক্লাস নিতেন না এবং পড়াশোনার চেয়ে রাজনীতিতেই বেশি সময় দিতেন। তার কোর্সের শিক্ষার্থী মো. রাসেল বলেন, “তিনি নিয়মিত ক্লাসে আসতেন না। যখন মন চাইত আসতেন, না চাইলে আসতেন না।”

আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ‘নগরফুলের এক দশক পূর্তি উৎসব’ অনুষ্ঠিত

অভিযোগ বিষয়ে সমন্বয়ক রহমত আলীর বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত কিক স্কলারশিপ প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি ইংরেজি ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কোর্স করানো হয়। চুক্তিভিত্তিকভাবে নিয়োগ পাওয়া কোর্স ইন্সট্রাক্টররা শিক্ষার্থীদের পড়ানোর দায়িত্বে থাকেন। সংস্থাটির সিদ্ধান্তে সমন্বয়ক রহমত আলীর চাকরিচ্যুতি এখন নিশ্চিত হয়েছে।