নিজস্ব প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার পর ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফলাফল প্রকাশে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল কিংবা দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রশিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “ভোট গণনা সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। এজন্য কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি আগামীকাল সকাল কিংবা দুপুরের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।”
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন হলে ভোট পড়েছে—
আল বেরুনী হলে ২১১ ভোটের বিপরীতে ১২৫ ভোট, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ৩৪১ ভোটের বিপরীতে ২১৬ ভোট, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ ভোটের বিপরীতে ৩১০ ভোট, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮০ ভোটের বিপরীতে ১৩৭ ভোট এবং শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৯ ভোটের বিপরীতে ২২৪ ভোট।
এছাড়া মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ ভোটের বিপরীতে ৩৮৪ ভোট, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ ভোটের বিপরীতে ২৪৭ ভোট, প্রীতিলতা হলে ৩৯৯ ভোটের বিপরীতে ২৪৬ ভোট, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৯ ভোটের বিপরীতে ২৪৯ ভোট, ১০ নম্বর (ছাত্র) হলে ৫৪১ ভোটের বিপরীতে ৩৮১ ভোট এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫৬ ভোটের বিপরীতে ৪৭০ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইবিতে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের নামে হল না থাকার শূন্যতা অনুভব করেছিঃ আহমাদুল্লাহ
আরও জানা যায়, বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ ভোটের বিপরীতে ২৪৬ ভোট, ১৩ নম্বর (ছাত্রী) হলে ৫৩২ ভোটের বিপরীতে ২৭৯ ভোট, ১৫ নম্বর (ছাত্রী) হলে ৫৭১ ভোটের বিপরীতে ৩৩৮ ভোট, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ ভোটের বিপরীতে ২৬১ ভোট এবং রোকেয়া হলে ৯৫৫ ভোটের বিপরীতে ৬৮০ ভোট পড়েছে।
ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে আনা হয়। তবে রাত পর্যন্ত গণনা কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর, পুরাতন প্রশাসনিক ভবন, বটতলা, প্রান্তিক গেট, ডেইরি গেট ও ট্রান্সপোর্ট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।