তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সড়ক সংস্কারের দাবিতে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৩ টার দিকে আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরুর আশ্বাস দিলে বিকেল দেড় ঘন্টা পর কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে সড়ক অবরোধে আটকে থাকে জরুরী রোগী বহনের কাজে নিয়োজিত খুলনা.বি. এন.এস.বি.চক্ষু হাসপাতাল পরিবহন। গাড়ী চালক ও হেলপার ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও এক ঘন্টার অধিক গাড়ি আটকে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে ভোগান্তির শিকার অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চক্ষু রোগীসহ চালক-যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা “ সড়ক প্রশাসনের হয়রানি, মানি না মানবো; প্রশাসনের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট এ্যাকশন” স্লোগান দেয়। এসময় জরুরী রোগী বহনের কাজে নিয়োজিত খুলনা.বি. এন.এস.বি.চক্ষু হাসপাতাল পরিবহন আটকে থাকতে দেখা যায়। চালক ও হেলপার বাস ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করলেও ঘন্টাখানেক পড়ে তা ছাড়ে আন্দোনলকারীরা।
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পর্যন্ত উভয় সড়কের অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়েন। এই সড়ক সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অথচ প্রতিনিয়ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তায় চলাচল করছে। এর আগে কয়েক দফায় আমরা মিটিং মিটিং খেলা খেলেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। এবার আমরা দুই জেলার প্রশাসনকে বাধ্য করে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করে নিতে চাই। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা চাচ্ছি কোনরকম তালবাহানা না করে দ্রুত এই সড়ক সংস্কার করা হোক।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। মুঠোফোনে আন্দোলকারীদের জানান, "আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাস্তার গর্তগুলো সংস্কার করা হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে। পরবর্তীতে রাস্তা পুরোপুরি সংস্কার করা হবে।”
আরও পড়ুনঃ সাজিদ হত্যার ৯০তম দিন, এরপর কি আমি? প্রতীকী বোর্ডে অভিনব প্রতিবাদ
এদিকে গাড়ি আটকে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী চক্ষু রোগীরা বলেন, আমরা খুলনার শিরোমনি হাসপাতাল থেকে আসছি।
সকালে হালকা নাস্তা করছি আর ডাক্তাররা আমাদের অপারেশন করেছে। আমাদের প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে যে আমরা এখন চলতেই পারছি না। আমাদের রোগী বহনের গাড়ি। তারপরও আমাদের যাইতে দিচ্ছে না।
সড়ক অবরোধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গাড়ি চালকরা বলেন, এরমকম হুটহাট রাস্তা আটকে দেওয়ায় আমরা ভোগান্তিতে পড়ি। দূরদূরান্তের গাড়ি ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরাও চাই এই সড়ক সংস্কার করা হোক। কিন্তু এই অবরোধের কথা আমাদের আগেই জানিয়ে দিলে আমরা গাড়ি নিয়ে এই সড়কে আসতাম না। ফলে আমাদের ভোগান্তি হতো না।
এ বিষয়ে আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের প্রধান এস এম সুইট বলেন, আমাদের এখানে আসার ১০/১২ মিনিট পরে আমরা গাড়ীটা ছেড়ে দেই। কখন থেকে ছিলো সেটা আমাদের নজরে আসেনি।