তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাধে বহিরাগতদের প্রবেশে নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে এসব নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন মাইকিং-বিজ্ঞপ্তিতেই দায় সারছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, লালন শাহ হল ও শাহ আজিজুর রহমান হল ফটক দিয়ে অবাধে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে বহিরাগতরা। এতে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা থাকলেও এসব নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সম্প্রতি বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ক্যাম্পাসে মাইকিং করলেও মোটরসাইকেল, অটো, ভ্যান নিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেখা যায়। এছাড়া ক্যাম্পাসে ছিন্নমূল ও ভিক্ষুকদের সংখ্যাও বেড়েছে। এমনকি তারা সাহায্যের জন্য কোনো বাঁধা ছাড়াই পরীক্ষার হল ও শ্রেণীকক্ষেও প্রবেশ করছেন।
এদিকে আজ দুপুরে প্রধান ফটক হয়ে অটো নিয়ে কয়েকজন বহিরাগত ক্যাম্পাসে এসে বিভিন্ন স্থানে টিকটক ভিডিও করতে দেখা যায়। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এসবের ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপত্তা শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
বহিরাগতরা জানান, আমরা শেখপাড়া ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসছি। ছবি ভিডিও ও টিকটক করছি। প্রবেশের সময় আমাদের কোনো বাঁধা দেওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসটা খুব সুন্দর লাগছে।
আরও পড়ুনঃ ইবিতে মোরাল প্যারেন্টিং’র বৃত্তি পেল ষাটের অধিক ইবি শিক্ষার্থী
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ লাগামহীন। এদের নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। ফলে আবাসিক হলগুলোতে বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা ঘটছে। এছাড়া আমাদের পরীক্ষার হলেও বহিরাগতরা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরও অরক্ষিত। এছাড়া প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কোনো পরিচয়পত্রও দিচ্ছে না। ফলে আমরা সবসময়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমরা বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিচ্ছি। বহিরাগত নিষিদ্ধের পরেও কিভাবে তারা কোনো বাঁধা ছাড়াই আসছে তা খতিয়ে দেখছি। তবে অনেক সময় দর্শনার্থীরা আসলে তাদের বাঁধা দেওয়া যায় না।