spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ববির ছাত্রী হলে তীব্র পানি সংকট, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তাপসী রাবেয়া বসরী হলে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র পানি সংকট। পানির অভাবে আবাসিক শিক্ষার্থীরা নিত্যদিন...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসববির ছাত্রী হলে তীব্র পানি সংকট, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

ববির ছাত্রী হলে তীব্র পানি সংকট, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তাপসী রাবেয়া বসরী হলে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র পানি সংকট। পানির অভাবে আবাসিক শিক্ষার্থীরা নিত্যদিন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। রান্না, গোসল, টয়লেট ব্যবহার থেকে শুরু করে খাবার পানি সংগ্রহ—সব ক্ষেত্রেই পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

হলের শিক্ষার্থীরা জানান, দিনে হয়তো এক-দু’বার স্বল্প সময়ের জন্য পানি আসে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থীকে লাইন ধরে সামান্য পানি সংগ্রহ করে দিনের কাজ চালাতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে কেউ একাডেমিক ভবন বা লাইব্রেরি থেকে পানি এনে প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। পানির অভাবে ওয়াশরুমে তৈরি হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। দুর্গন্ধ, ময়লা এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী দিলারা ইসলাম অপি বলেন, “এই তীব্র গরমে খাবার পানির অভাব এখন প্রতিদিনের নিত্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পুরো হল ঘুরেও অনেক সময় এক লিটার পানিও পাওয়া যায় না। গোসল না করতে পারা, টয়লেটে পানি না থাকা, ক্লাসে দেরি হওয়া এখন যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। বারবার জানানো সত্ত্বেও স্থায়ী সমাধান মিলছে না। মনে হয় আমাদের ভোগান্তির মূল্য কেউ বুঝতে চায় না।”

আরও পড়ুনঃ সাজিদ হত্যার বিচার চেয়ে ইবিতে কফিন মিছিল, শিক্ষার্থীদের সাথে সিআইডির পর্যালোচনা বৈঠক

আরেক শিক্ষার্থী সায়মা সুলতানা বলেন, “হলে থাকা এখন পানির জন্য প্রতিদিনের যুদ্ধ। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে পানি পাই না, দুপুরে পানি থাকে না, কাপড় ধোয়া বা গোসল করা তো দূরের কথা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছি।”

এ বিষয়ে তাপসী রাবেয়া বসরী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শারমিন আক্তার বলেন, “পানি সংকট দূর করতে আমরা ইতিমধ্যে নতুন মোটর বসানো, পাইপলাইন মেরামত এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। নতুন দুটি পানির ট্যাংক স্থাপনের জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আমরা আশাবাদী।”

শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের এই নিত্য দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান হয়।