spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির জুলাই বিরোধীদের শাস্তি চায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকবৃন্দ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকায় থাকা ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩৩জন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসজুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার জন্য গণভোট প্রয়োজন: শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি

জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার জন্য গণভোট প্রয়োজন: শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ আমাদের সকলেরই প্রত্যাশা ছিল। অনেকগুলো মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে এটি তৈরি হয়েছে। যদিও এখানে কিছু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি হিসাব-নিকাশ আছে। কিন্তু এরপরেও আলহামদুলিল্লাহ, যতটুকু হয়েছে, এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন ইতিহাস, নতুন মাইলফলক। তো এই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। আমরা আশা করি এটাকে আইনি ভিত্তি দেয়ার জন্য অবশ্যই গণভোট আয়োজন করা দরকার।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) শাখা ছাত্রশিবিরের আয়োজিত ২০২৪-২৫ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যদিও আইনি ভিত্তি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো একটি অর্ডিন্যান্স অন্য একটি দল এসে বিভিন্ন সময়ে সেটা আবার চেঞ্জ করে ফেলে। এজন্য গণভোট হলে এটা দিয়ে আইনি ভিত্তি পাবে বা সবার একটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে, সেটা অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে অতটা পাবে না। এইজন্য আমরা গণভোটের পক্ষে। আর এটি অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগেই হওয়া যুক্তিযুক্ত যা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তাই প্রত্যাশা করছে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব রাখার বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমত, আমরা ছাত্র অঙ্গনে কাজ করি, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে এবং হিস্টোরিক্যালি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যতগুলি ইভেন্ট হয়েছে, বড় বড় হিস্টোরিক্যাল ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোতে আপনি দেখবেন যে ক্যাম্পাস এবং ছাত্রদের একটা ভূমিকা ছিল। সে জায়গা থেকে আমাদের কাছে একটা চিত্র স্পষ্ট, তা হলো মানুষের চিন্তার একটা পরিবর্তন হয়েছে। জুলাই এবং আগস্ট শুধু নিছক একটা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা বা আন্দোলন ছিল না। এটা টোটাল জেনারেশনের চিন্তার একটি জাগরণ হয়েছে এবং এই জাগরণটা হচ্ছে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের যে ফ্যাসিবাদী আচরণ, এটা মানুষ এখন আর দেখতে চায় না।

আরও পড়ুনঃ নালিতাবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

তিনি বলেন, ‘এখন মানুষ গঠনমূলক কাজ চায়। আগের মতো কাঁদা ছোড়াছুড়ি, নোংরামি অথবা রাজনৈতিক কালচারের মধ্যে যে নেগেটিভিটিগুলো রয়েছে, এগুলো শিক্ষার্থীরা এখন আর দেখতে চায় না। তো আমি মনে করি ঠিক একই বিষয়টি জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও ঘটছে। সাধারণ মানুষ আর আগের কালচারের রাজনীতিকে পছন্দ করছে না। যারা রাজনীতির নয়া স্বরূপ অথবা সত্যিকারের অর্থে মানুষের কল্যাণের জন্য গঠনমূলক এজেন্ডা নিয়ে হাজির হবে, তারাই জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব পাবে।’

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে দুই সহস্রাধিক নতুন শিক্ষার্থীকে ফুল, আল-কুরআন, টি-শার্ট ও হিজাব দিয়ে বরণ করে নেয় শাখা ছাত্রশিবির।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আইআইইআর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান, দা‘ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক এইচ. এম. আবু মুসা, এবং ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।