spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ফ্যাসিবাদী ধারার রাজনীতির কবর ৫ আগস্ট হয়ে গেছেঃ জাহিদুল ইসলাম

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ “বন্ধুপ্রতিম রাজনৈতিক সংগঠনগুলো কুরআন কম্পিটিশনের মতো ইতিবাচক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জুলাই–আগস্টের পর আমাদের কার্যক্রমই প্রমাণ দেবে যে ফ্যাসিবাদী ধারার রাজনীতির...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসফ্যাসিবাদী ধারার রাজনীতির কবর ৫ আগস্ট হয়ে গেছেঃ জাহিদুল ইসলাম

ফ্যাসিবাদী ধারার রাজনীতির কবর ৫ আগস্ট হয়ে গেছেঃ জাহিদুল ইসলাম

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ “বন্ধুপ্রতিম রাজনৈতিক সংগঠনগুলো কুরআন কম্পিটিশনের মতো ইতিবাচক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জুলাই–আগস্টের পর আমাদের কার্যক্রমই প্রমাণ দেবে যে ফ্যাসিবাদী ধারার রাজনীতির কবর ৫ আগস্ট হয়ে গেছে”— নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই নবীন বরণ অনুষ্ঠান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, বরিশালে এসে তীব্র গরম অনুভব করছেন এবং শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগও চোখে পড়ছে। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো বড় কোনো অডিটোরিয়াম না থাকায় শিক্ষার্থীদের কথা বলার মতো স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়নি। দ্রুত সময়ে এটি নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে বরিশাল অঞ্চলকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আরও সুপরিচিত করতে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার টাকাটা আসে কৃষকের কষ্টার্জিত অর্থ থেকে। তারা আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন— আমরা ভালো কিছু করব, এটাই তাদের আশা। তাই তাদের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “সকালবেলা সৃষ্টিকর্তার বরকতের সময়। এই সময়টা ঘুমিয়ে নষ্ট না করে কাজে লাগাতে হবে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লেই সকালকে কাজে লাগানো সম্ভব।”

শিবিরের বড় বড় আয়োজনের অর্থায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিটি কর্মীই আমাদের ডোনার। তারা তাদের মাসিক খরচ থেকে কিছু অর্থ দিয়ে থাকে। যেসব সাবেক নেতাকর্মী বর্তমানে ভালো চাকরি করেন বা বিদেশে অবস্থান করেন, তারাও নিজেরা খুঁজে নিয়ে সাহায্য পাঠান।”

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক ও জুলাই আন্দোলনকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সোহেল রানা, কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ রাফি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম বাবু, বরিশাল মহানগরের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ক্যারিয়ার গাইডলাইনের সেশনে সোহেল রানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আল্লাহর বিশেষ রহমত। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে দ্রুত পড়ালেখা শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, “খারাপ সঙ্গ মানুষকে বিপথে নেয়। তাই বন্ধুবাছাইয়ে সতর্ক থাকতে হবে।” পাশাপাশি ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য কো-কারিকুলাম কার্যক্রম, ইনফরমেশন–নলেজ অর্জন এবং পাবলিক স্পিকিং–ডিবেটিং দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ রাজশাহী কলেজ প্রেজেন্টেশন ক্লাবের ৮ম বর্ষপূর্তি ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

হারুন অর রশিদ রাফি বলেন, “ক্যারিয়ার শুধু নিজের উন্নয়ন নয়— সঙ্গে অন্যদেরকেও এগিয়ে নেওয়ার নাম ক্যারিয়ার।” ইহকালীন সফলতার পাশাপাশি পরকালের মুক্তির বিষয়টিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

২০১১–১২ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরুর পর থেকেই ছাত্রশিবিরের কমিটি এখানে সক্রিয় ছিল। পূর্ববর্তী সরকার আমলে প্রকাশ্যে বড় কোনো আয়োজন না করলেও প্রতি বছর স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে এবছরই প্রথমবারের মতো বড় আকারে নবীন বরণ আয়োজন করা হলো।

নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য টি–শার্ট, শাল, ডায়েরি, কলম, চাবির রিং, বই ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা ছিল। প্রায় ১,৫৫৮ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেন। যারা উপস্থিত না থাকায় পুরস্কার পাননি, তাদের কাছেও পুরস্কার পৌঁছে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন শাখা সভাপতি।

এর আগে ৪ নভেম্বর ‘এক শিক্ষার্থী এক কুরআন’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২,৫০০ কুরআন বিতরণ করে ছাত্রশিবির, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম।