spot_img

― Advertisement ―

spot_img

‘জুলাই আন্দোলনে নারী’ কর্মসূচিতে উপেক্ষিত জাবির আন্দোলনকারী নারীরা

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সংস্কৃতি সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ‘জুলাই আন্দোলনে নারী’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীতে উপেক্ষিতই রয়ে...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসফের জাবির ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মূল্য বৃদ্ধি

ফের জাবির ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মূল্য বৃদ্ধি

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম ফের বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে খাবারের নিম্নমানসহ মুরগী ডিম,সবজি,ছাড়া তেমন কোনো খাবার আইটেম থাকে না।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষার্থীরা। তার ওপর কয়েক মাস পরপর খাবারের দাম বাড়ানোতে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির অযুহাত দেখিয়ে এ বছরের জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে ডিম ১০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ টাকা করা হয়। পূর্বে বাজারে ডিম ৪৫ টাকা হালি হলেও ডিমের তরকারি বিক্রি হতো ১২টাকায়। কিন্তু বর্তমানে ডিমের হালি ৩৬ টাকা হলেও সেই ডিম প্রতি পিচ শিক্ষার্থীদের খেতে হচ্ছে ১৫ টাকায়। ডিমের পাশাপাশি পোলাও এর দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করা হয় ২০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকায়।

আরও পড়ুনঃ জাবিতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে শর্ত শিথিলের অভিযোগ 

বর্তমানে ক্যাফেটেরিয়াতে আবারো খাবারের দাম একদফা বৃদ্ধি করা হয়। সালাম-বরকত হল,আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল এ মুরগীর মাংস ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও ক্যাফেটেরিয়ায় এখন ছোট এক পিচ মুরগীর মাংস ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ,সকালের পাতলা খিচুড়ি ১০ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গায় ভাত প্রতি প্লেট ১০ টাকায় বিক্রি হলেও ক্যাফেতে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়।সবজি ১০ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিদিন একই ধরনের তরকারি দিয়ে খাবার পরিবেশন করা হয়। মুরগির মাংসের উপস্থিতি নাম মাত্র  থাকলেও মাছ সহ অন্যান্য আইটেম পাওয়া যায় না। খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অজুহাত দিয়ে খাবারের মানের দিকে নজর দিচ্ছে না প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল হোসাইন বলেন, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এটা কী শিক্ষার্থী-বান্ধব নাকি শিক্ষার্থী স্বার্থের পরিপন্থী ? যখন তখন অজুহাত দেখিয়ে খাবারের দাম বৃদ্ধি করছে। এইতো কিছুদিন আগেও দাম বৃদ্ধি করেছে। এখন আবার বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের উচিত ছিল খাবারের মান বৃদ্ধি করা। আমাদের টাকায় আমাদের খাবারের ব্যবস্থা হলেও সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে পুষ্টিহীন খাবার খাচ্ছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর শাখা সংগঠক সোমা ডুমরি বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করবে। কিন্তু এটা কী হচ্ছে? কিছুদিন আগেও ক্যাফেটেরিয়াসহ হলগুলোতে খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে এখন আবার দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। খাবারের মান না বাড়িয়ে ঘন ঘন দাম বাড়ানোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং শিক্ষার্থী পরিপন্থী। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা সকালের খাবার মাইনাস করে চলেও খাবারের দামের সঙ্গে দৌড়ে পারছে না। তাই বলতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ভর্তুকি দিয়ে খাবারের দাম ও মান ঠিক রাখা হোক।

এ বিষয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক আহমেদ রেজা বলেন, আমরা খাবারের দাম নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। বাজার মুল্যের জন্য আপাতত দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।আমরা সর্বদা চেষ্টা করি কিভাবে খাবারের দাম কম রেখে খাবারের গুনগত মান বৃদ্ধি করা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সারোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করছি খুব দ্রুত সময়ের মাঝে দাম সমন্বয় করা হবে।  বাজারে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির কারনে দাম বাড়ানো হয়েছে।শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং খাবারের আইটেম গুলো বৃদ্ধি এবং গুনগত মান নিশ্চিত করা হবে।