spot_img

― Advertisement ―

spot_img

হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলা, মহাসড়ক অবরোধ করে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসহাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলা, মহাসড়ক অবরোধ করে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলা, মহাসড়ক অবরোধ করে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

এদিন সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও হাদীর সুস্থতা কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব এন এসের (আইইউসানস) নেতৃবৃন্দসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘হাদির ওপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না’, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘জুলাই যোদ্ধা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘বিপ্লবীরা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, আজ সারাদেশে জুলাই নেমে এসেছে। জুলাই যোদ্ধা হাদির ওপর হামলা হয়েছে। এটা নির্বাচন বাঞ্চালের ষড়যন্ত্র। জুলাইয়ের পরর দেশের সামগ্রিক পরিবর্তন চাওয়াতে এই হামলা। এই ষড়যন্ত্র মানুষ মেনে নিবে না। কখনো জুলাই বাঞ্চাল করার যাবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা।

আইইউসানসের সাবেক সভাপতি সাজ্জাতুল্লাহ শেখ বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এই হামলার হুমকি অনেকদিন দিচ্ছিলো। কিন্তু আজ সরকারের ব্যর্থতায় হামলা হয়েছে। এই হাদীর রক্ত বারুদ হয়ে গোটা বাংলায় ছড়িয়ে যাবে। দেশ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। গোটা দেশের ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। আওয়ামীলীগ চায় না নির্বাচন হোক। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র ন্যাসাৎ করে ছাড়বো। 

শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফ আলী বলেন, একটি গ্রুপ জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে জুলাই নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। একদল সুশীল জুলাই ও একাত্তরকে মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে। আজ জুলাইয়ের জনগণের জেগে উঠেছে। আমরা আর কোনো ছাড় দিতে রাজি নই। যেখানে জুলাইয়ের ওপর হামলা সেখানেই আমরা প্রতিবাদ করবো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু লোক ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতারিত করা হবে। সবাই ঐক্যাবদ্ধ হয়ে জুলাইয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করবো। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবো।

আরও পড়ুনঃ বিধি লঙ্ঘন করে ফল প্রকাশে বিপাকে ইবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা

শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বলেন, এই হামলা শুধু এক ব্যক্তির ওপর হামলা নয়। এটা সমগ্র জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা। সন্ত্রাসী হামলা করে আন্দোলন নিস্তব্ধ করা যায় না। ওসমান হাদী শুধু একজন ব্যক্তি নয়। তিনি সমাজের ন্যায়, অধিকার ও স্বাধীনতার কথা বলে। একটা মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজ ইবিতে আরেকটি জুলাই নেমে এসেছে। সকল দল-মত জুলাইয়ের স্প্রীটকে ধরে রেখে নেমে এসেছে। হাদীর ওপর হামলা বিচ্ছিন্নভাবে নিলে আমরা ভুল করবো। এই হামলা ইন্টেরিম দায়িত্ব নেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে। গতকাল চট্রগ্রামে এক জুলাই যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে৷ ব্যারিষ্টার ফুয়াদের ওপর হামলা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র করছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। আপনারা আর কোনো ষড়যন্ত্রের সাহস দেখাবেন না। ছাত্র-জনতা রুখে দিবে। আজ হাদীকে হত্যার জন্য হামলা করা হয়েছে। এক হাদী মারা গেলে লক্ষ্য হাদী জন্ম নিবে।

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।