spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জবি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণায় নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা, দুই সংগঠনের নিন্দা

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসলাল টেপে লিকেজ সারিয়ে রান্না সারতেন জবি ছাত্রীরা

লাল টেপে লিকেজ সারিয়ে রান্না সারতেন জবি ছাত্রীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা লাল টেপে লিকেজ সারিয়ে রান্না সারতেন। হলের বেশ কয়েকটি ফ্লোরে শিক্ষার্থীরা এমন ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতির গ্যাস সংযোগে রান্নাবান্না করতেন বলে জানা গেছে।

পরিপূর্ণ নিরাপদ গ্যাস সরবারাহ লাইন না থাকায় মাঝে মাঝে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তেমনিভাবে গত ৩ মে (শুক্রবার) মধ্যরাতে হলের ১০ম তলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। প্রচন্ড আতঙ্কে তৎক্ষনাৎ একজন শিক্ষার্থী  অসুস্থ হয়ে পড়ে। বড় রকমের কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ভেজা কাঁথা দিয়ে ছাত্রীরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ । বারংবার এমন দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দুষছেন হলের শিক্ষার্থীরা। অনিরাপদ এবং লিকেজ গ্যাস লাইনের কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মাবুদা আকতার বলেন, এসব দুর্ঘটনার জন্য পুরো সিস্টেম দায়ী। প্রশাসনের কিছু ইনডিভিজুয়াল ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। তাদের নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত যাতে প্রতিরোধ সরঞ্জাম আগে থেকেই নেওয়া যায়।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন , বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই ভীতসন্ত্রস্ত। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলের বেশির ভাগ লাইনে লিকেজ আছে, টেপ দিয়ে লিকেজ সারিয়ে আমাদের রান্না বান্না করতে হয় যা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া বেশিরভাগ লাইন দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে হল প্রভোস্ট ড. দীপিকা রানী সরকার বলেন, আপতত হলের সকল গ্যাস লাইন বন্ধ আছে। অতিদ্রুত আমরা লাইনগুলো সংস্কার করবো এবং ভবিষ্যতে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখবো।