মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ভুয়া কার্ড বানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ালেখা করে আসছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ কুমার। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ালেখা করে এলেও এতদিন ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি।
সোমবার (৩ জুন) ঢাবির এক শিক্ষার্থী বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ধরে ফেলে। পরে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাবি শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৈধ শিক্ষার্থী হয়েও তারা বসার সিট পান না। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেখানে বহিরাগত শিক্ষার্থী এসে পড়াশোনা করছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জাল কার্ড বানিয়ে জালিয়াতি করাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুনঃ প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাবির শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি
সৌরভকে আটকের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সৌরভের কাছে থাকা স্মার্ট কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য দেখাচ্ছে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিব্রতকর৷
আলিফ রানা সজল নামে বঙ্গবন্ধু হলের এক শিক্ষার্থী জানান, প্রথমে এক ছোট ভাইয়ের মারফত জানতে পারি যে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে অবৈধভাবে। পরে তার কাছ থেকে পরিচয়পত্র চাইলে সে নীলক্ষেত থেকে বানানো পরিচয়পত্রটি দেয়। তখন অন্যজনের পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে কিছুটা পার্থক্য পাওয়ায় সন্দেহ আরও বেড়ে যায়।
সজল আরও জানান, সৌরভ জগন্নাথ হলে থাকেন বলে জানান। তখন জগন্নাথ হলের প্রভোস্টের নাম জিজ্ঞাসা করলে বলতে পারেনি। এরপর ইংরেজি বিভাগের ছাত্র বললে বিভাগের চেয়ারম্যানের নাম জিজ্ঞাসা করা হলে তার উত্তর দিতে পারেননি। তখন বুঝতে পারি সে বহিরাগত। পরে সহকারী লাইব্রেরিয়ানের কাছে নিলে ঢাবির ছাত্র নয় বলে স্বীকার করে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সজল জানান, একটু দেরি হলেই সিট না পেয়ে আমাদের অনেককে ঘুরে যেতে হয়। সিট না পেয়ে পড়ার সুযোগ পাই না। অথচ বহিরাগত এসে পড়ছে বিষয়টি দুঃখজনক। শেষে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে সৌরভকে সোপর্দ করা হয়।