আসাদুর রহমান বিজয়, গবি প্রতিনিধিঃ যাতায়াতের ভোগান্তি দূর করতে দীর্ঘদিন ধরেই বাসের আবেদন জানিয়ে আসছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা। তবে প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও মেলেনি তার সমাধান।আশ্বাসের দেড় বছরেও পেরিয়ে গেলেও আশ্বাসেই আটকে আছে সব কিছু।
এদিকে সম্প্রতি শিক্ষক, কর্মকর্তাদের জন্য সোয়া কোটির অধিক মূল্যের দুটি নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশোক লেল্যান্ডের ৫২ আসন বিশিষ্ট বাস দুটি গত ৩ জুন ক্যাম্পাসে পৌছানোর পরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তারা। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর মানিকগঞ্জ ও চন্দ্রা রুটে দুটি বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগ্রহীদের থেকে তথ্য আহ্বান করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ঢাকা হত্যার রহস্য খুঁজতে গিয়ে আরও মরদেহের সন্ধান
তবে দীর্ঘদিন বাস চালুর দাবি জানিয়ে আসলেও তখন এ আবেদনে তেমন সাড়া মেলেনি। ফলে আরও একবার তথ্য চাওয়া হয়। দুবার তথ্য আহ্বান শেষে মানিকগঞ্জ রুটে ৬১ জন, চন্দ্রা রুটে ৫৩ এবং ঢাকা রুটে (সম্ভাব্য) মাত্র ৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এছাড়া আরও ৮ জন শিক্ষক-কর্মকর্তারাও এসব রুটে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মদ মুকাম্মেল জানান, ‘শিক্ষার্থীদের বাসের ব্যাপারে আমরা এখনো ইতিবাচক। ক্যাম্পাস থেকে বাইশমাইলের রাস্তা সংস্কারের কাজ চলায় শিক্ষকদের জন্য আনা বাস দুটি এখনো চালু হয়নি। এটা চালুর পর আগের বাস দুটি পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য মানিকগঞ্জ ও চন্দ্রা রুটে চালু হবে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকলে পরবর্তী সময়ে ঢাকা রুটেও বাস সেবা চালু হবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে। তাদের যাতায়াতের ভোগান্তি দূর করতে মানিকগঞ্জ ও চন্দ্রা রুটে দুটি বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তদানুরূপ শিক্ষার্থীদের সাড়া পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা যদি আগ্রহী থাকে তাহলে বাস সেবা চালু করবে প্রশাসন। ‘