
মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, জাবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কোটার হাইকোর্টের রায় কে কেন্দ্র করে সাধারন ছাত্রসমাজ আন্দোলনে শুরু করছে এর মাঝে কোটার পক্ষে ও মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সন্তান প্রজন্মকে অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা। কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীরা।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার দফতর সম্পাদক জাহিদ হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো আসাদুল আলম শেখ বলেন, যারা নিজের স্বার্থ,পরিবারের ভবিষ্যত চিন্তা না করে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করলো, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান যারা করতে পারে না আর যায় হোক তারা দেশপ্রমিক হতে পারে না,তারা স্বার্থসন্ধানী।দেশের প্রয়োজনে তারা কখনও এগিয়ে আসবে না,এগিয়ে আসবে ওই মুক্তিযোদ্ধার পরবর্তী প্রজন্মরাই। আমি গর্বিত আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাফিন শাহরিয়ার শুভ বলেন, যারা এখন আন্দোলন করতেছে তারা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী কথা বলেন। তারা যদি মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী না হতেন তাহলে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা স্থগিত হলে তাদের আন্দোলন বন্ধ হতো না। সকল ধরণের কোটা বাতিলের দাবি জানাতো। এখান থেকেই প্রমাণিত তারা মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী।
আরও পড়ুনঃ কোটা বাতিলের দাবিতে কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
মানববন্ধনে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, আমাদের বাবা – দাদারা যখন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তখন তারা কোনো কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধ করেনি। যুদ্ধের পরেও যে তাদেরকে অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে এমন না। এখন যারা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তারা বলছে যে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও কোটার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে কেনো? কিন্তু আসলেই কি এই ৫২ বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুযোগ সুবিধা ছিলো? স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে এই সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
আর এখন যারা আন্দোলন করছে তারা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কথা বলে তাদেরকে অন্য কোনো কোটা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় না। এ থেকে বোঝা যায় তাদের সমস্যা শুধু মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিয়ে। মক্তিযোদ্ধা কোটা পুনরায় বহালের পরে মুক্তিযোদ্ধ পরিবার, সন্তান প্রজন্মকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হেয় করা হচ্ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।