ইবি প্রতিনিধি: সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল সোয়া দশটায় কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড় থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে মুজিব চত্ত্বর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
পদযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসক ও জেলা মাজিস্ট্রেট এহেতেশাম রেজার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) মহসীন উদ্দীন।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে নাই। কেননা শিক্ষার্থীরা সকল গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের যে মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার তা নিশ্চিত করতে ও একটি দক্ষ প্রশাসন গড়তে মেধাভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। তাই সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ৫ শতাংশ কোটাকে ছাত্রসমাজ যৌক্তিক মনে করে।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গভবনে স্মারকলিপি, পদযাত্রায় পুলিশের ব্যারিকেড
স্মারকলিপিতে তারা আরোও বলেন, ছাত্রসমাজ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধী নয়, তবে নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা রাখাটা সম্পূর্ণই অযৌক্তিক। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে- সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে (সর্বোচ্চ ৫%) এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণের পর তিনি বলেন, আমরা প্রসিডিউর অনুযায়ী যথাস্থানে মেসেজটি জানিয়ে দেব।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান সুইট বলেন, আমাদের আজকের দাবি রাষ্ট্রপতির কাছে। আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমাদের বার্তা পৌঁছাতে চাই। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সংসদে জরুরি অধিবেশনে ডেকে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার করা হোক সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।