spot_img

― Advertisement ―

spot_img

‘জুলাই আন্দোলনে নারী’ কর্মসূচিতে উপেক্ষিত জাবির আন্দোলনকারী নারীরা

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সংস্কৃতি সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ‘জুলাই আন্দোলনে নারী’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীতে উপেক্ষিতই রয়ে...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসজাবিতে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার হুমকি বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতার

জাবিতে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার হুমকি বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতার

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছিনতাই, মারধর ও ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগে আজীবন বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ইয়া রাফিউ শিকদার চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের হল ছাড়ার হুমকি দেন।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলের শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিপরীতে ‘তুমি কে, আমি কে?, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দিলে আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে রাফিউ শিকদার ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হল ছাড়ার হুমকি দেন।

রাফিউ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক পদে রয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

ফেসুবক পোস্টে তিনি বলেন, “শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে কোন রাজাকার বলে স্লোগান চলবে না। বুকের পাটা থাকলে আমার সামনে এসে দিস যার দেওয়ার ইচ্ছা। আর যেইডারে ধরতে পারবো সেইডার তখনই হল ছেড়ে দিতে হবে”

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত একজন শিক্ষার্থীর এমন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, হলের বৈধ শিক্ষার্থীদের এভাবে হুমকি প্রদান করার সাহস সে কিভাবে পায়? শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল মিটিং, স্লোগান দেবার অধিকার সবার আছে। তিনি অবৈধ শিক্ষার্থী হিসেবে বহিষ্কার হবার পরেও কিভাবে হলে অবস্থান করেন এবং কিভাবে এতো ক্ষমতা দেখান। আমরা প্রশাসনের নিকট তার জবাব চাই।

আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে বেরোবি ছাত্রলীগ ও আন্দোলকারীদের মধ্যে উত্তেজনা, আহত ৬

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন,মেরিটে চান্স পেয়ে বৈধভাবে হলে থাকি। শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হবার কারনে তিনি কিভাবে আমাদের হল থেকে বের করে  দেবার কথা বলতে পারেন। যেখানে তিনি নিজেই বহিস্কৃত। 

প্রভোস্ট এ বিষয়ে কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।  ক্ষমতাসীন দের অনৈতিক সুবিধা তিনি কেন দিচ্ছেন। বহিষ্কৃত এক ছাত্র কিভাবে হলে থাকে প্রভোস্টের থেকে জবাব চাই।

এ বিষয়ে শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলের প্রভোস্ট আলমগীর কবির বলেন, আমি এই মুহুর্তে একটা মিটিং এ আছি। তবে আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।