মো: মাহিদুজ্জামান সিয়াম, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশের বৃহৎ প্রাণিসম্পদ সেক্টরেও সাবেক সরকারের প্রবল অনিয়ম ও দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। দেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের চিন্তা থেকে বৈষম্যহীন নীতিমালা চায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সাথে যৌক্তিক দাবি নিয়ে কথা বলার জন্য।
এ সময় গবির ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “এই বৃহৎ সেক্টর কে সামনে কিভাবে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে তোমাদের সাথে খুব শীঘ্রই আমি বসবো এবং তোমাদের কথা শুনবো।”
সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অনুষদের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ রুমন হোসেন বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশে ১৪ টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্বাইন্ড, ৭ টিতে ডিভিএম ডিগ্রী ও ২ টি এনিমেল হাজবেন্ড্রী চালু আছে। কিন্তু আমরা কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে চরম অবহেলিত হচ্ছি সব জায়গায় দ্রুত এর সমাধান চাই।”
আরও পড়ুনঃ তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন গবি রেজিস্ট্রার
এসময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-
ভেটেরিনারি পেশাকে জরুরী সেবা হিসেবে ঘোষণা করা। বৈষম্যহীন প্রানিসম্পদের উন্নয়নের স্বার্থে স্নাতক পর্যায়ে অভিন্ন ডিগ্রীর বিধান। প্রাণিজ পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বিপনীন পরিদপ্তর গঠন করা। নিরাপদ প্রাণিজ পণ্য কতৃপক্ষ তৈরি করা। এনিমেল হেলথ সংশ্লিষ্ট ড্রাগস পরিদপ্তর আলাদা করা। পাবলিক হেলথ বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন করা। প্রতি উপজেলায় কমপক্ষে পাঁচজন ভিএস পদ সৃষ্টি করা। জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল পর্যায়ে ১০ জন করে সেক্টর স্পেশিয়ালিস্ট নিয়োগের বিধান করা। কৃষির ন্যায় প্রতিটি সেক্টর এর জন্য আলাদা আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান চালু করা। এই অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা উচিৎ