spot_img

― Advertisement ―

spot_img

কুবি রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের নেতৃত্বে তানভীর – আল আমিন

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৫-২৬ মেয়াদের এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসশাবিপ্রবির রুদ্র হত্যা মামলায় আ.লীগের ৭৬ জন আসামি

শাবিপ্রবির রুদ্র হত্যা মামলায় আ.লীগের ৭৬ জন আসামি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হাসিনা সরকার পতনের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৮ জুলাই সন্ধ্যায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পানিতে পড়ে মারা যান সিলেটের  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্র রুদ্র সেন (২২)।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন আন্দোলনের শাবিপ্রবি সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম।

এ মামলায় মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেটের তিন সাবেক এমপিসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০০-২৫০ জনকে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, শাবিপ্রবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন, মৌলভীবাজারের সাবেক সাংসদ শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সাংসদ রনজিৎ সরকার, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।

আরও আছেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর, জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু খালেদ মো. মামুন, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ ও কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ এবং দুজন এসআই ও ৫ জন কনস্টেবল।

আরও পড়ুনঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষর্থী বহিষ্কার 

মামলর বাদি শাবিপ্রবি সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহানগর পুলিশের দুই কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের কয়েকজন এমপি, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানসহ ৭৬ জন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় এজহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। আদালত আমাদের সার্বিক অভিযোগ পর্যালোচনা করে সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করেন। নিহত রুদ্র সেন আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়।’

জানা যায়, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রুদ্র সেন গুলিতে আহতাবস্থায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সুরমা বাগবাড়ী এতিমখানা স্কুলের একটি খাল পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।