আসাদুর রহমান বিজয়, গবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বন্যা কবলিত এলাকায় প্রাণীদের সেবায় ভেটেরিনারি ক্যাম্পেইন ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় দিনব্যাপী এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানুষের মঙ্গলে প্রাণীর সৃষ্টি, তাদের বিপদে ভেটেরিনারিয়ানরাই রাখবো দৃষ্টি’।
জানা যায়, অত্র অনুষদের ৮ জন শিক্ষকের নেতৃত্বে ২৫০০ কেজি ফিড, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ওষুধ, খড় ও নেপিয়ার ঘাস নিয়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর টিম কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন লাকসাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) ডা. এ. কে. এম রকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘বন্যায় প্রাণিসম্পদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে পারলেও অনেক পশুপাখির জন্য খাবার ব্যবস্থা করতে পারিনি। এজন্য গণ বিশ্ববিদ্যালয় টিমকে ধন্যবাদ। তারা গোখাদ্য, ঘাস, খড় এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নিয়ে এসেছে। এছাড়া, পোষা প্রাণীর খাবার ও ঔষধের ব্যবস্থা করেছে। এসব কার্যক্রম ভালোভাবে প্রচার করলে অনেক বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে।’
সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অনুষদের ইন্টার্ণ চিকিৎসক মো. রুমন হোসেন জানান, আমরা কুমিল্লার তিনটি পয়েন্টে ক্যাম্পেইন এবং খাদ্য বিতরণ করেছি। এসব এলাকায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। কিছুদিন আগেও আমরা নোয়াখালীতে ৪০০ পরিবারের কাছে খাবার পাঠিয়েছিলাম। আজকেও আরেকটা টিম নোয়াখালীতে ২৫০ পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তার জন্য গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বন্যার্তদের নিয়ে গান গেয়ে ভাইরাল শেহমান
ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষক ডা. মো. জামিনুর রহমান বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জন্য প্রাণীর সৃষ্টি। আজকে মানুষ অসহায়। এই অসহায় মানুষের সহায়তার মাধ্যমে শক্তি জোগানোর উদ্দেশ্যেই আমাদের আসা। আমরা আপনাদের পাশে আছি। যদিও যতটা সহায়তা প্রয়োজন, ততটা সাধ্য আমাদের নেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষ আমাদের কার্যক্রম দেখে উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সমুদ্রের মধ্যে এক ফোটা জল ফেলার মতো।আমি সরকারিভাবে কিছু আনতে পারিনি কিন্তু উনারা এতো অল্প সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এত আয়োজন করায় আমি কুমিল্লা বাসীর পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।
প্রায় ৫০০ খামারির মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফিড, খড়, মেডিসিন সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত ক্যাম্পেইনে সার্বিক সহায়তায় ছিলো বিনিময় ফিড লিমিটেড, একুশে এগ্রো ফিড্স এন্ড ফার্ম, লাকি ফিড লিমিটেড, স্মাট বায়োটেক ইন্টান্যাশনাল, জেএফএল, হাজি ফিড, এম. এম. এনিমেল হেল্থ, জামান এগ্রো, হিল টাস্ট এগ্রো ভেট এবং বোনাফিড এগ্রো ভেট লিমিটেড, বাংলাদেশ