
মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ড.আনারুল হক প্রং যেনো রাজশাহী কলেজে ঢুকতে না পারে এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটকর তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা দিকে প্রশাসনের ভবনে তালা দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মূলত গত ৯ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কে বদলি করে রংপুর কারমাইকেল কলেজে পাঠানো হয় এবং তার জায়গায় ড. আনারুল হক প্রাং কে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা,দুর্নীতি,ও রাজনৈতিক নানা সুভিধা নিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের প্রমাণ রয়েছে। মূলত এই কারণে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন গড়ে তোলে।
১০ই সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত তারা বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আসছিলেন। আজ তারা জানতে পারেন যে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব গ্রহণ করতে আসবে। এখবর শোনার সাথে সাথে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে একত্রিত হয়।
এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আন্দোলনের একপর্যায়ে সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহ: আব্দুল খালেক তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এবং কলেজ থেকে দাপ্তরিকভাবে বিদায় নেওয়ার জন্য উপস্থিত হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে ধরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে।
এসময় সাবেক অধ্যক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থী দেরকে শান্তনা দেন এবং সব সময় তাদের পাশে থাকার আশ্বাস ও দেন।
আরও পড়ুনঃ ইবি অধ্যাপক মুঈদের মৃত্যু, প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত
প্রধান ফটকে তালা ঝুলানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নেতৃত্ব দানকারি সোহেল রানা জানান, আমরা চাই না কোন প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ শিক্ষক আমাদের অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করুক এবং রাজশাহী কলেজের মতো একটা পবিত্র জায়গা কে কলুষিত করুক। সে যাতে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যাবস্থা করেছি।আমরা প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছি। এবং যতদিন না এর কোন ফয়সালা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমরা এই তালা ঝুলিয়ে রাখবো এবং প্রশাসনিক ভবনেও তালা ঝুলানো থাকবে। আমরা প্রশাসনিক কোন কাজে বাধা দিব না। তবে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ড.আনারুল হক প্রং যদি আজ কলেজে প্রবেশ করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
এছাড়াও আন্দলনের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহুয়া মৌ জানান, আমরা কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করেছি কোন দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে আমাদের কলেজে ঠাই দেওয়ার জন্য নয়। যদি এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষক আমাদের কলেজে প্রবেশ করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তাকে আটকাবো।