
পাভেল ইসলাম মিমুল, স্টাফ রিপোর্টারঃ চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মানিকুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই মামলায় তার ভাই মুনজুরুজ্জামান মুনকেও আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন তামান্না ইয়াসমিন (৩০) নামের এক নারী। তিনি নগরীর রানীনগর সাধুরমোড় এলাকার বাসিন্দা। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মানিক ও মুন চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২২ সালে তামান্নার মা নওবাহার খাতুন ও স্বামী শাহীকে রুয়েটে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন এবং এর বিনিময়ে ৫ লাখ টাকা নেন। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তারা চাকরি দিতে পারেননি এবং টাকাও ফেরত দেননি।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, একই কৌশলে আশরাফ উজ জামান নামে এক ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রির কথা বলে ৬ লাখ টাকা, সঞ্জু নামের একজনের কাছ থেকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের বিপরীতে ৬ লাখ এবং মামুনুর রশিদের কাছ থেকে চেকের বিপরীতে ১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন তারা। কিন্তু জমি না দিয়েও কিংবা চেকের টাকা ফেরত না দিয়ে দুই ভাই মিলে মোট ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা একাধিকবার টাকা ফেরত চাইলেও প্রতারিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে পাওনাদারদের হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করলে ১০ মার্চ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপরও সমাধান না পেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা, জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে : আমির খসরু
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুয়েট কর্মকর্তা মানিকুজ্জামান মানিকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়, আমি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ধার নিয়েছি এবং ফেরত দেব।”
এদিকে তার ভাই মুনজুরুজ্জামান মুন বলেন, “চেকের বিপরীতে যে টাকা নেওয়া হয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হবে। এর বাইরে কোনো লেনদেন হয়নি। আমাদের হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে।”
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান বলেন, “মামলাটি তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”