spot_img

― Advertisement ―

spot_img

উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন বেরোবি শিক্ষার্থীরা

বেরোবি প্রতিনিধি: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশন করা শিক্ষার্থীরা অবশেষে উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন।বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের বেগম...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনশিক্ষাদীর্ঘ আট বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ, অংশ নিচ্ছেন প্রায়...

দীর্ঘ আট বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ, অংশ নিচ্ছেন প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষার্থী

মোঃ ইকরাম হাসান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দীর্ঘ আট বছর পর আজ শনিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা শহরের মোট ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। এরপর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধুমাত্র এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আট বছর পর আবারও পরীক্ষা ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।

পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে প্রতিটি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর করে পাওয়া যাবে এবং ভুল উত্তরে কোনো নম্বর কাটা হবে না। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ৪০% ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ৬০% যোগ করে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি হবে চূড়ান্ত মেধাতালিকা।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২৪৭টি কেন্দ্র বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, এরপর রয়েছে খুলনায় ১৫৬টি, রাজশাহীতে ১৪৩টি, চট্টগ্রামে ১৩৪টি, রংপুরে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি এবং সিলেট বিভাগে ৪৪টি কেন্দ্র।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে দেশের সব কেন্দ্রেই পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি 

সরকারি কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এবার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আট বছর পর আবারও ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে যেমন উত্তেজনা, তেমনি অভিভাবকদের মাঝেও ফিরে এসেছে নির্ভরতার অনুভূতি। এ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করবে তাদের প্রস্তুতি ও মেধার প্রতিফলন।