মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ এইচ এম শহিদুল ইসলাম এর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর ১২ টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে মাদ্রাসার মধ্যে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা ।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ এইচ এম শহিদুল ইসলাম একজন আওয়ামী লীগের দালাল তিনি দুর্নীতি, সে ভুয়া প্রিন্সিপাল অনিয়ম করে এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদে বসেছেন। সরকার থেকে তাকে কোন বেতন দেওয়া হয়না। তার বেতন তুলে নিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেনতসহ বিভিন্ন খাদে বেশি বেশি টাকা আদায় করতো। তার দুর্নীতির কথা সকল শিক্ষকরা জানে তবে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করত না।
আরো বলেন, এই অধ্যক্ষ মাদ্রাসার অর্থ সম্পদ দিয়ে রাজনীতির কার্যক্রম করতো তিনি আওয়ামী লীগের দালালি ছাড়া কিছুই বুঝতো না।
উপাধাক্ষ মোঃ জাকির হোসেন বলেন,শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ক্লাস বাদ দিয়ে তারা মিছিল শুরু করে এবং প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবি জানায়। এখানে তো আমাদের কিছু করার নাই। তাদেরকে আমরা বলি তোমরা আমাদের কাছে স্মারক লিপি জমা দাও আমরা গভর্নিং বডির কমিটি কাছে তুলে ধরব অথবা ডিসি বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তোমাদের আবেদন টা জানাতে পারবো। তারপরে ওনারা যেটা সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই।
অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ এইচ এম শহিদুল ইসলাম বলেন,আমার বিপক্ষে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। দুই একজন শিক্ষক এবং ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী মিলে আমার নামে দুর্নাম এবং পদত্যাগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
যারা আমার বিপক্ষে এইসব আন্দোলন করার চেষ্টা করছে, তারা কোন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী নয়। তাছাড়া এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেনো নেতৃবৃন্দ ছিল না। কিছু ব্যক্তি নিজে স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব করাচ্ছে, তারা আমার খুব কাছের মানুষ, স্বার্থের জন্য তারা আমার বিপক্ষে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমি রাজশাহী বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সাথে কথা বলছি তারা কাল বা পরশুর মধ্যে ডিসির কাছে পাল্টা মিছিল করে ১ টা দরখাস্ত দিবে।