নাহিদ হাসান, বগুড়া প্রতিনিধি: যদিও ক্যালেন্ডারের শীতকাল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি, তবে বগুড়ার প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা বইতে শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই শীতের স্পর্শ অনুভূত হচ্ছে, আর পাতলা কাঁথায় শীত মানছে না। ফলে লেপ-তোশকের জন্য মানুষের ভিড় বেড়েছে বেডিং স্টোরগুলোতে।
বগুড়া শহরের শতাধিক লেপ-তোশক তৈরির দোকানে ধুনকররা গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীতের তীব্রতা শুরু হওয়ার আগেই সবাই লেপ-তোশক প্রস্তুত করছে। শহরের বিভিন্ন দোকানে তুলা ধুনা থেকে শুরু করে সেলাই এবং নকশার কাজ চলছে পুরোদমে। ধুনকররা এই মৌসুমের ব্যবসা থেকেই সারা বছরের রুজি-রোজগারের সংস্থান করেন।
শহরের মাটিডালী এলাকার ক্রেতা মনিকা আক্তার বলেন, "গত বছর যে লেপ ১২০০ টাকায় কিনেছি, এ বছর সেটি ১৫০০ টাকায় কিনতে হলো।" ব্যবসায়ীরা বলছেন, তুলা ও কাপড়ের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে। শহরের এক নম্বর রেলগেট এলাকার ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন জানান, শীতের মৌসুমে লেপ-তোশক বিক্রি বাড়ে, আর এই আয় সারা বছরের মন্দা ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ ইবিতে র্যাগিংয়ের দায়ে ছয় শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ
তুলার দাম বাড়ার কারণে লেপ-তোশক তৈরির খরচ বেড়েছে। শিমুল তুলার প্রতি কেজির দাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কার্পাস তুলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, আর কালো হুলের দাম ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। প্রতিপিছ লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
শীত মৌসুমের আগমনে ধুনকরদের কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। কেউ তুলা ধুনছেন, কেউ লেপ সেলাই করছেন, আবার কেউ লেপের নকশা ফুটিয়ে তুলছেন। বগুড়া সদর উপজেলার কারিগর সিরাজুল ইসলাম বলেন, "পুরোনো লেপ নতুন করে তৈরি করতে এসেছি। কাপড় ও তুলার দাম বাড়ার কারণে খরচ বেশি পড়ছে।"