
ছাত্ররাজনীতি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পুরোনো এক ঐতিহ্য। বাংলাদেশ নামক এ রাষ্ট্রের জন্মের
পেছনে ছাত্ররাজনীতি বড় ধরনের ইতিবাচক ভূমিকা আছে। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের উত্তাল
আন্দোলন পাকিস্তানি শাসকদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল, যা পরবর্তীকালে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অবদান
রেখেছিল। কিন্তু ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করছে অসাধু ও স্বার্থপর কিছু রাজনীতিবিদ। রাজনীতির সিঁড়ি বেয়ে
উপরে উঠতে সন্ত্রাস-নির্ভর রাজনীতিবিদরা ছাত্রদের ব্যবহার করছে। যার পরিণতিতে, আজকের ছাত্র
সমাজের একটি বড় অংশ মাদকাসক্ত, অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ, ইভটিজার। এটি যেমন একদিকে শিক্ষার্থীদের
নেতৃত্ব গুণাবলি বিকশিত করার মঞ্চ হিসেবে কাজ করে, অন্যদিকে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার কারণ হিসেবেও
দায়ী । ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কি ভাবছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগন-
দেশের কল্যাণে ছাত্ররাজনীতি আবশ্যক
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মের হাতেই নিহিত”। আর এই তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনা ও নেতৃত্ব বিকাশে ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপমহাদেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতির অবদান অনস্বীকার্য। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রনেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এমনকি স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়েও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং এক-এগারোর রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ছাত্ররাজনীতি ছিল অন্যতম নিয়ামক শক্তি।
তবে গত কয়েক দশকে ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নানা বিতর্কে কলুষিত হয়েছে। সহিংসতা, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব এবং দলীয় লেজুড়বৃত্তির কারণে ছাত্ররাজনীতির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা “অধিকার”-এর তথ্যানুযায়ী, ২০০১-২০২১ সাল পর্যন্ত দেশে ২,২৪,২৩১টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যার উল্লেখযোগ্য অংশ ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি দলীয় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে একধরনের আধিপত্যবাদী রাজনীতির জন্ম দিয়েছে। ফলে গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এতে তাদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে ছাত্ররাজনীতি বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে তরুণ সমাজের মধ্যে। তবে একে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলে এর নেতিবাচক প্রভাবও থাকতে পারে। পাকিস্তানে স্বৈরশাসক জিয়াউল হক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করায় দেশটি এখন নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় রয়েছে। ফলে সেখানে সামরিক ও আমলাতান্ত্রিক শাসনের আধিপত্য বেড়েছে, যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করেছে। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ছাত্ররাজনীতির সংস্কার প্রয়োজন। সহিংসতা কমিয়ে শিক্ষাঙ্গনে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এর টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে রাজনৈতিক দল ও শিক্ষাবিদদের। ছাত্রসংসদগুলো সক্রিয় করার মাধ্যমে সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পায়।
হাসানুল আনোয়ার নিশান
পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্ররাজনীতির সুষ্ঠু চর্চা প্রয়োজন
ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়, নেতৃত্ব বিকাশ ও গণতন্ত্র চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে বর্তমান সময়ে এটি কতটা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে করি, ছাত্ররাজনীতি শিক্ষাবান্ধব, গণতান্ত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন হওয়া উচিত।
একসময় ছাত্ররাজনীতি স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। এটি আমাদের সাহসী ও দায়িত্বশীল হতে শেখায় এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা দেয়। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এটি দলীয়করণ, সহিংসতা, স্বার্থান্বেষী রাজনীতি ও সন্ত্রাসের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী মূলত রাজনৈতিক দলের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়, যা তাদের শিক্ষাজীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আমার মতে, ছাত্ররাজনীতি হওয়া উচিত— অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যম – শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও ন্যায়ের জন্য কাজ করবে। সহিংসতামুক্ত – দখলদারিত্ব, মারামারি ও সন্ত্রাসমুক্ত থাকবে। শিক্ষাবান্ধব – পড়াশোনার ক্ষতি না করে নেতৃত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। দলীয় স্বার্থের বাইরে – শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে, কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হবে না। নৈতিক ও আদর্শনিষ্ঠ – ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে সহায়ক হবে, যা দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।
যদি ছাত্ররাজনীতি সত্যিকার অর্থে শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও সামাজিক পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে, তবে এটি আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। কিন্তু যদি এটি শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করে ও তরুণদের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, তবে সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই আমাদের প্রয়োজন একটি সুশৃঙ্খল, নীতিবান ও শিক্ষাবান্ধব ছাত্ররাজনীতি।
খাদিজা
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বাকৃবিতে ছাত্ররাজনীতি: ইতিবাচকতা ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্ররাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। এর ইতিবাচক দিক হলো— এটি নেতৃত্ব বিকাশ ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে ভূমিকা রাখে। বিশেষত, অতীতে এটি ক্যাম্পাস উন্নয়ন, দুর্যোগকালীন সহায়তা ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কাজে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্ররাজনীতি দলীয়করণ, দখলদারিত্ব ও সহিংসতার অভিযোগে কলুষিত হয়েছে। দলীয় প্রভাবের কারণে কিছু শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে, যা শিক্ষার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
ছাত্ররাজনীতি থাকা উচিত কিনা, তা নির্ভর করে এর গঠনমূলক চর্চার ওপর। যদি এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে এবং সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব ও অনৈতিকতার বাইরে থাকে, তবে তা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তবে যদি এটি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ও সহিংসতা ছড়ায়, তবে তা পরিহারযোগ্য। তাই সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতির চর্চা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
ইয়ামিন হোসেইন সানি
কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
নির্দলীয় ছাত্রসংসদ: সময়ের দাবি
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়, প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন এবং অধিকার সংরক্ষণে দক্ষ নেতৃত্ব প্রয়োজন। তবে এই নেতৃত্ব কেবল দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি থেকে আসতে হবে— এমন বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। বরং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় নির্দলীয়, স্বচ্ছ ও কার্যকর কাঠামো গড়ে তোলাই গুরুত্বপূর্ণ।
দলীয় ছাত্ররাজনীতি কী অর্জন করেছে?
পূর্বের অভিজ্ঞতা বলছে, দলীয় ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা, দলীয় কোন্দল সৃষ্টি এবং প্রকৃত শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে পেছনে ফেলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া সঠিকভাবে উপস্থাপন ও বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ফলে একটি নিরপেক্ষ, প্রতিনিধিত্বশীল কাঠামো গঠন করা এখন সময়ের দাবি।
নির্দলীয় ছাত্রসংসদ কেন প্রয়োজন? স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। শিক্ষার্থীদের দলীয় প্রভাবমুক্ত রেখে প্রকৃত স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নীতিনির্ধারণে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করবে। শিক্ষাঙ্গনে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করবে। গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাঙ্গন তৈরি করবে।
নির্দলীয় ছাত্রসংসদ গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ পাবে, যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন সহজ হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নত হবে। তাই এখন সময় এসেছে সঠিক নেতৃত্ব ও একটি কার্যকর ছাত্রসংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।
মোঃ শাহাজালাল হোসেন সাফি
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ,বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্ররাজনীতির প্রকৃত সংজ্ঞা ও প্রয়োজনীয়তা
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কথা বলার আগে বোঝা জরুরি—রাজনীতি আসলে কী? রাজনীতি মূলত রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনার জন্য নীতি নির্ধারণের একটি প্রক্রিয়া, যা সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ছাত্ররা কেন এবং কীভাবে এই ধারায় যুক্ত হবে? ছাত্ররাজনীতি কি শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যক, নাকি এটি শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর?
বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন—প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করতে শেখায়, নেতৃত্ব গঠনের সুযোগ তৈরি করে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।
সময়ের পরিক্রমায় ছাত্ররাজনীতির প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়েছে। অতীতে আমরা দেখেছি, ছাত্ররাজনীতির নামে ক্ষমতার অপব্যবহার, হলের সিট দখল, চাঁদাবাজি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং লেজুড়বৃত্তির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্রমেই রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং এর প্রতি তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি হারিয়ে ফেলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলগুলোতে গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি, যেখানে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ছাত্ররাজনীতি যদি শিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজনীয়তাঃ আমরা চাই এমন ছাত্ররাজনীতি— ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে, শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, দলীয় স্বার্থের চেয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেবে, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত নেতৃত্ব দিতে সহায়তা করবে।
সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতি গড়ে তুলতে হলে নেতৃত্বের মধ্যে স্বচ্ছতা, নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা থাকতে হবে। ছাত্ররাজনীতি যদি শিক্ষার্থীদের কল্যাণ এবং শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার জন্য কাজ করে, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে।
আমির হামজা
ফার্মেসী বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়