একজন বাবা তার সন্তানের জন্য কতভাবে অবদান রেখে যায়, তার হিসাব কেউ কখনো দিতে পারবে না। বাবাকে ভালোবাসুন। আজ হয়তো তার সক্ষমতা আছে। তিনি আপনাকে আগলে রাখছেন। কিন্তু তার দুঃসময়ে আমাদের উচিৎ তার পাশে থাকা, সেবা করা। কারণ স্বার্থ ছাড়া কেউ যদি আমাদের ভালোবাসেন তিনি হলেন বাবা। বাবা দিবসে বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তুলে ধরেছেন মো: আসাদুর রহমান।
বাবাকে কখনও বলা হয়নি, 'ভালবাসি'
বাবা ছাড়া প্রত্যেকটা দিন-রাত খুবএকা লাগে। তার স্পর্শটুকু,সেই মায়াভরা ডাক অথবা মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া মনে পড়ে। বাবা বেঁচে থাকতে কোনদিন ভাবিনি বাবাকে ছাড়া থাকতে হবে। বাবা নেই আজ ৪ বছর, কেটে যাচ্ছে একেকটি দিন, মাস আর একেকটি বছর– বাবা নেই, আছে বাবার রেখে যাওয়া হাজারো স্মৃতি, একটা সময় সবার জীবনেই আসে যখন মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, তখন কারো পরামর্শ খুব জরুরী হয়ে পড়ে। সে সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মতো আদর্শ একজন মানুষ হলেন বাবা। স্বভাবগত গাম্ভীর্যের জন্য বাবার সাথে সবার ঘনিষ্ঠতা একটু কম থাকে। কিন্তু সে মানুষের আমাদের প্রতি ভালোবাসার কোন ঘাটতি থাকে না। বাবা একটা বটগাছের মত সব সময় ছায়া দেয় আজ আমার বাবা নেই তাই আমার ছায়া টাও নেই। আমি এক অভাগ, যে কখনো তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলতে পারেনি যে, 'বাবা, তোমাকে অনেক ভালোবাসি।'
মাহামুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ৩য় সেমিস্টার
আইন বিভাগ।
বাবার অপর নাম 'অলিখিত যোদ্ধা'
বাবা তুমি না থাকলে জীবনটা এতো সহজ হতো না। তোমার ত্যাগ আর পরিশ্রমের ফলেই আজ আমরা সুখী। তোমার কাঁধে চড়ে পৃথিবীকে দেখেছি। যদিও সময় আর দূরত্ব আমাদের আলাদা করেছে, আমাদের আলাপচারিতা এখন মুঠোফোনেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবুও তোমার নির্দেশিকা, পরামর্শ ও ভালোবাসা সাথে নিয়ে তোমার স্বপ্ন পূরণের পথে হাটছি। আমার স্বপ্ন পূরণের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ছায়া হয়ে পাশে থেকো, যেমন থেকে যায় বটবৃক্ষ। তুমি ছাড়া জীবন অচল, নিঃসঙ্গ যাত্রায় প্রতিটি মূহুর্ত নির্জন। আঙ্গুল ধরে হাটতে শেখা হোঁচট খাওয়াও আছে, যখনই জীবনে মুখ থুবড়েছি বাবা তুমি ছিলে পাশে। সেবার স্পর্শে আগলেছো রোজ কপালে দিয়ে আদর, মা বলতো তোমার আস্কারাতেই হয়েছি আস্ত বাঁদর। আবদার মেটানোর সব চেষ্টায় দিয়েছো নিজ শখের বলি, তোমার শেখানো মিতব্যয়ী পথে আজ আমিও যে চলি। চাকরি ও পড়াশোনার সুত্রে বহুদূরে আজ পরিশ্রমের মানে বুঝি, কাজের চাপে ভেঙ্গে পড়া কাঁধে তোমার হাতটা খুঁজি। যদি কখনও মনে জাগে কোনো নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা, মনে রেখো তবে বাবার অপরনাম অলিখিত যোদ্ধা।
ফারজানা আক্তার লিলি
শিক্ষার্থী, ১ম সেমিস্টার
সমাজকর্ম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।
জীবনে বাবার অবদান অতুলনীয়
প্রত্যেকের কাছে তার বাবা একজন সুপার হিরো।স্বচক্ষে দেখা একজন জীবন যোদ্ধা । নিজের সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে তার সন্তানের যেনো একটুও অবহেলা না হয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা এই ব্যাক্তি করে থাকেন ।আমার বাবা জীবনের প্রত্যেক সময় আমার পাশে ছিলেন । আমার সব প্রয়োজনে এই বাবাকে পেয়েছি। অনেকের কাছে বাবার উদাহরণ শুনি যে আমার বাবা আমাকে এইটা করতে দেয় না এই কাজে বাঁধা দেন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি এমন একজন বাবা পেয়েছি যার কাঁধে হাত রেখে বলতে পারি তুমি আমার বেস্ট বাবা । বাবা নিয়ে যা ই বলবো খুবই কম হবে।কিছু কিছু জিনিসের বর্ণনা হয় না। বাবাকে অনেক ভালোবাসি।
সৈয়দা ফারজানা
শিক্ষার্থী, ৪র্থ সেমিস্টার
বাংলা বিভাগ।
আরও পড়ুনঃ ধৈর্য ও ত্যাগের মহাত্ম্য নিয়ে পবিপ্রবির এবারের কোরবানির ঈদ
যার হাত ধরে হাঁটতে শিখেছি তিনি হলেন 'বাবা'
বাবা শুধু একজন মানুষ নন। একটিমাত্র সম্পর্কের নাম নয়। বাবার মাঝে জড়িয়ে আছে বিশালত্বের এক অদ্ভুত মায়াবী প্রকাশ । যার হাত ধরে রাস্তায় প্রথম হাঁটতে শিখিছি তিনি হলেন বাবা। সেই ছোট্টবেলা থেকে আজ পর্যন্ত বাবার কাছে যা আবদার করেছি তিনি তার সাধ্য দিয়ে সেসব পূরণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন । বাবা সব সময় আমাকে একটি কথা বলে, "কখনো জীবনে হাল ছাড়বেনা, সব সময় শেষ পর্যন্ত দেখে যাও কি ঘটে।" এই একমাত্র আশ্বাস,ভরসা যিনি দিতে পারেন তিনি হচ্ছেন বাবা। এই পৃথিবীতে একমাত্র বাবাই এমন এক ব্যক্তি যে নিজের চেয়ে নিজের সন্তানকে এগিয়ে যেতে দেখতে চাই। আসলে দুই এক কথায় বাবার বর্ণনা শেষ করা যাবে না ।
প্রিতম সাহা রায়
শিক্ষার্থী, ৪র্থ সেমিস্টার,
বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ।
আমি আমার বাবাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই
বাবার ঋণ কখনও শোধ করতে যেও না, কারণ সাগরের জল সেচে কখনও শেষ করা যায় না। তাই সব সময় একটা কাজ করে যেও; সেই ছোট্ট বেলা থেকে বাবা তোমাকে যেভাবে আগলে রেখেছে তুমি বড় হলে তাঁকে সেভাবেই আগলে রেখো। বাবা কে নিয়ে লিখতে গেলে আমার কলমের কালি থমকে যাবে তবুও ফুরাবে না,বাবা কে নিয়ে লেখার মতো অনূভুতি আমার জানা নেই তবুও ও লেখার খাতিরে লিখতে হয়। আমার বাবা আমার কাছে বটবৃক্ষের মতো এক বিশাল ছায়া, সত্যি বলতে আমার বাবা ছাড়া আমার এতদূর আজ এই যে পথ, যত টুকু এসেছি এটা এতো সুন্দর শান্তিতে হয়ত আমার জন্য হতো না। কারণ, আমি ছিলাম একটা যানবাহন মাত্র আমার পথ দেখিয়ে মনুষ্য করা মানব মানুষের সংস্পর্শে আশা সবই বাবার হাত ধরেই,বাবা কে নিয়ে লেখার কোন শেষ নেই আমার বাবা আমার কাছে এক সেরা মানুষ একটা আদর্শ।
সামিউল ইসলাম মুন্না
শিক্ষার্থী, ২য় সেমিস্টার
আইন বিভাগ।