এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) হলো এক ধরনের শ্বাসতন্ত্রজনিত ভাইরাস যা মূলত শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের উপর প্রভাব ফেলে। প্রথমবারের মতো ২০০১ সালে এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয় এবং এটি প্যারামিক্সোভিরিডি (Paramyxoviridae) পরিবারের অন্তর্গত।
এইচএমপিভি সংক্রমণ সাধারণত মানুষের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। এর উপসর্গগুলো সাধারণ ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে শুরু করে গুরুতর শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস প্রায়ই ব্রঙ্কিওলাইটিস (Bronchiolitis) এবং নিউমোনিয়ার কারণ হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি ফ্লু বা সাধারণ ঠান্ডার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।
উপসর্গগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:
এই ভাইরাসটি মূলত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি, সংস্পর্শে থাকা দূষিত পৃষ্ঠ, বা হাত থেকে ছড়ায়। এটি খুবই সংক্রামক এবং শীতকাল বা বসন্তকালে বেশি প্রভাব ফেলে।
এইচএমপিভি সাধারণত শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে গুরুতর প্রভাব ফেলে। বিশেষত:
এইচএমপিভি ভাইরাসের জন্য সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। চিকিৎসা সাধারণত উপসর্গ অনুযায়ী করা হয়। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং পানিশূন্যতা রোধে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ রোগ নিরাময়ে সাউন্ড থেরাপি: প্রাচীন পদ্ধতিতে আধুনিক চিকিৎসার নবদিগন্ত
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী শ্বাসতন্ত্রজনিত সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ। এটি শিশুদের মধ্যে রোটা ভাইরাস বা আরএসভি ভাইরাসের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এর উপর নজরদারি করছেন।
এই ভাইরাসের উপর আরও গবেষণা এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি, যাতে এটি বড় আকারের মহামারিতে পরিণত না হয়। জনসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।