আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে উত্তেজনা আবারও বাড়ছে, যেখানে সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ চলছে। সাম্প্রতিক কিছু দিন ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা বেড়েছে এবং পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এই সংঘর্ষের ফলে সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং উভয় পক্ষের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, হিজবুল্লাহ সীমান্তে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ অভিযোগ করছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের অবস্থানগুলোতে বিমান হামলা এবং ভারী গোলাবর্ষণ করেছে। এর ফলে উভয় পক্ষই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, যদিও সঠিক সংখ্যাগুলো এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
এই উত্তেজনা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য গ্লোবাল শক্তিগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ২০০৬ সালের যুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি এখনও কার্যকর রয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সহিংসতা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আরও পড়ুনঃ ধর্মপাশায় সাবেক এমপি রতনের বড় ভাই মাসুদ গ্রেপ্তার
উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, সীমান্তের আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষ পালানোর চেষ্টা করছে। সাধারণ জনগণ ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে, এবং মানবিক সংকটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সীমান্তের উভয় পাশের এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপত্তার ঘাটতি তৈরি হতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সংঘর্ষ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। যদিও উভয় দেশই শান্তির পক্ষে কথা বলছে, সাম্প্রতিক সহিংসতা দেখাচ্ছে যে পরিস্থিতি সহজে শান্ত হবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ এবং কূটনৈতিক সমাধান ছাড়া এই উত্তেজনা দীর্ঘমেয়াদে আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করতে পারে।
ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ, যেখানে উভয় পক্ষের মাঝে সহিংসতা আরও বাড়ছে। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, নতুবা এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।