spot_img

― Advertisement ―

spot_img

উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন বেরোবি শিক্ষার্থীরা

বেরোবি প্রতিনিধি: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশন করা শিক্ষার্থীরা অবশেষে উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন।বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের বেগম...
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকইসরায়েল–ইরান যুদ্ধ: মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ উত্তেজনা, বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধ: মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ উত্তেজনা, বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রতিবেদন: ১৩ জুন শুরু হওয়া ইসরায়েলের “Operation Rising Lion”-এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হয়েছে নতুন এক ভয়াবহ যুদ্ধ-বাস্তবতা। এই অভিযানে ইরানের সামরিক অবকাঠামো, বালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ও পরমাণু সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে সফল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে F-35i, F-16 ও F-15 যুদ্ধবিমান, সঙ্গে ড্রোন ও সাইবার হামলার সমন্বিত হাইব্রিড কৌশল।

ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইরান ছুড়েছে প্রায় ৩৭০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ও শতাধিক Shahed-136 ড্রোন। এতে ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত ও ৫৯০ জন আহত হয়েছে। হামলার কারণে তেহরানসহ অভ্যন্তরীণ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও ইসরায়েলের আইরন ডোম ও অ্যারো-৩ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সচল রেখেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তির আহ্বান জানালেও সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—ইরানকে পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত হতে দেওয়া হবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও রাশিয়া কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে। তবে সবাই স্বীকার করছেন, এ সংঘাত এখন আর দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—এটি রূপ নিচ্ছে পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে।

ইরানের সহযোগী হুথি বিদ্রোহীরা হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের হায়ফা বন্দরে হামলার। লেবাননের হিজবুল্লাহ, সিরিয়া ও ইরাকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীরাও সক্রিয়। সীমান্তজুড়ে চলছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধ, যা সংকটকে আরও গভীর করছে।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার কারণে তেলের বাজারে অস্থিরতা বেড়েছে। Red Sea ও Bab al-Mandeb এলাকায় হুথিদের হামলায় সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবহন খরচ ও জ্বালানি মূল্য ১০% থেকে ১৫% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বিশ্ব বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত এখন আর শুধুই সামরিক নয়—এটি সাইবার হামলা, ড্রোন, পরমাণু হুমকি ও অর্থনৈতিক প্রভাব মিলিয়ে একটি “হাইব্রিড যুদ্ধ”। যদি একতরফা হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় প্রধানদের মৃত্যু বা পরমাণু স্থাপনায় বড় ধরনের আঘাত হয়, তবে এই সংকট একটি বৈশ্বিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

তবে এখনো কূটনৈতিক পথ উন্মুক্ত। বিশ্বের চোখ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর দিকে। একটি ভুল সিদ্ধান্ত পুরো বিশ্বকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিতে পারে।

এই মুহূর্তে মানবিক সহায়তা, কূটনৈতিক চাপ এবং সংঘাত প্রশমনের জন্য নিরপেক্ষ উদ্যোগই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান। যুদ্ধ থামানোর দায় শুধু ইসরায়েল বা ইরানের নয়—এটা এখন গোটা বিশ্বের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব।