
শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের হামলার পর সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। একইসঙ্গে দেশটির হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, দেশের কোথাও ১,০০০ জনের বেশি মানুষ নিয়ে কোনো পাবলিক ইভেন্ট বা গণজমায়েত করা যাবে না।
আজ বোরবার (১৪ এপ্রিল) ইরানের ড্রোন ও মিসাইল হামলার আশঙ্কায় সতর্কতাবশত দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী কয়েক দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে আইডিএফ।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার-এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েক দিনের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম, ক্যাম্প প্রোগ্রাম এবং পরিকল্পিত ভ্রমণের কোনোটিই আর হবে না।”
আরও পড়ুনঃ সত্য প্রতিশ্রুতি অভিযান নাম দিয়ে ইসরাইলে ইরানে হামলা
গতরাতে ইসরাইলের ওপর ইরানের ড্রোন হামলার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় আইডিএফ।
এদিকে, আইডিএফের মুখপাত্র ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সতর্কীকরণ সাইরেন শোনার পর তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে সেখানে ১০ মিনিটের জন্য অবস্থান করতে বলেছেন।
ইসরাইলি বেসামরিকদের উদ্দেশ্যে মুখপাত্র বলেন, “আমরা আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন,”যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা ইরানের প্রক্সিদের কাছ থেকে এখানে বিভিন্ন ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছি এবং সেই অনুযায়ী আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সাজিয়েছি। যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় আইডিএফ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে,”।
এদিকে, এবিসি নিউজকে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান ৪০০–৫০০ ড্রোন ও মিসাইল ইসরাইলকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও ইরানের ছোঁড়া দুই শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তারা বলছে, ইসরাইল ও অন্য কয়েকটি দেশ মিলে কিছু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের গতিরোধ করেছে, যার বেশিরভাগ হয়েছে ইসরাইলের আকাশসীমার বাইরে।
আইডিএফের মুখপাত্র হ্যাগারি বলেন, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের অভ্যন্তরে আঘাত করেছে এবং একটি সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।