আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিজেপি নেত্রীকে মারধর এর ঘটনার তদন্ত দাবি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, নারী কমিশন ও সংখ্যালঘু কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অবিলম্বে তদন্তকারী দল রাজ্যে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। জাতীয় নারী কমিশন শনিবার কোচবিহারে পৌঁচেছে। তিন দিনের মধ্যে এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করেছে তারা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলীয় ভাবে তদন্তকারী দল তৈরি করেছেন। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এর মাথায় রয়েছেন। এই দলে রয়েছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, বিধায়ক মালতি রাভা, শিখা চট্টোপাধ্যায়, নারী মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাফুজা খাতুন ও শশী অগ্নিহোত্রী।
শুক্রবার ‘নির্যাতিতার’ সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী ও প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সংখ্যালঘু নারীকে অত্যাচারের অভিযোগে আন্দোলনে নামতে চলেছে বিজেপি।
অগ্নিমিত্রা ও তার সতীর্থরাশনিবার কোচবিহারে পুলিশ সুপারেরদপ্তরে যান। তারা স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশের ব্যারিকেড ছিল দপ্তরের বাইরে। রাস্তার উপর অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুনঃ ভারতে বিজেপি নেত্রীকে মারধর, বিবস্ত্র করে হাটানো হয় ১ কি.মি.
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোপালকৃষ্ণ মিনার হাতে স্মারকলিপি দেন বিজেপি নেতারা। অগ্নিমিত্রা অভিযোগ করেন, “এই ঘটনাকে পারিবারিক বিবাদ বলে দেখাতে চাইছে তৃণমূল। জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই মণিপুরের মতো। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মণিপুর সফরে গিয়েছিল। এখানে কবে আসবে?”
এদিন কোচবিহার বিজেপি কার্যালয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখান থেকে তার সঙ্গে ফোনে কথা হয় সুকান্ত মজুমদারের।