শুরু হয়েছে জিলহজ্জ মাস। আল-কুরআন ও সহিহ হাদিসের গ্রন্থ পড়লে দেখা যায় আল্লাহ কিছু মাসকে অনেক মর্যাদার বলে ঘোষণা দিয়েছেন, যেমন: রামাজান মাস। অল্প সময়ে অধিক নেকী উপার্জনের জন্য মহান আল্লাহ যেসব মাসকে ফযীলতপূর্ণ করেছেন ঠিক তার মধ্যে জিলহজ্জ মাসও রয়েছে। এই মাসের রয়েছে অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক মর্যাদা ও ফজিলত।
প্রথমত, এটি হারাম তথা সম্মানিত মাস। চারটি হারাম মাসের মধ্যে অন্যতম হ’ল জিলহজ্জ মাস। আল্লাহ কুরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই মাসসমূহের গণনা আল্লাহর কাছে বার মাস আল্লাহর কিতাবে,সেদিন থেকে যেদিন তিনি আসমান-যমীন সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্য থেকে চারটি মাস হচ্ছে সম্মানিত। এটাই প্রতিষ্ঠিত দ্বীন’ (সূরা তওবা: ৩৬)।
রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ যেদিন আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, সেদিন হ’তে সময় যেভাবে আবর্তিত হচ্ছিল আজও তা সেভাবে আবর্তিত হচ্ছে। বারো মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। জুল-কা‘দাহ, জুল-হিজ্জাহ ও মুহাররাম। তিনটি মাস পর পর রয়েছে। আর একটি মাস হ’ল রজব-ই মুযার বা রজব মাস। (সহিহ বুখারী: ৩১৯৭)।
আরও পড়ুনঃ ইসলাম বলে সাহায্য করুন জালেম ও মাজলুম কে
দ্বিতীয়ত, এটা হজ্জের মাস। আল্লাহ কুরআনে বলেন, ‘হজ্জ হয় সুবিদিত মাসগুলিতে। (সূরা বাকারাহ: ১৯৭)। তাফসীরে তাবারীতে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, হজ্জের সুবিদিত মাসগুলি হ’ল শাওয়াল, জিলক্বদ ও জিলহজ্জ। আল্লাহ এ মাসগুলি হজ্জের জন্য নির্ধারণ করেছেন। আর ওমরা সারা বছর আদায় করা যায়।’
তৃতীয়ত, এই মাসে কুরবানী করা হয়। জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত মোট চারদিন কুরবানী করার সময়। প্রথম দিন তথা ১০ই যিলহজ্জ ঈদুল আজহার সলাতের পর কুরবানী করতে হবে। এছাড়াও জিলহজ্জ মাসের ১১,১২ ও ১৩ তারিখ কুরবানী করা যাবে। (সূরা বাকারাহ: ২০৩; ফাতহুল বারী ২/৪৫৮, লাতায়িফুল মাআরিফ ৩২৯পৃষ্ঠা)
লেখক:
মাহিদুজ্জামান সিয়াম,
সদস্য, ইসলামি পাঠাগার সাহাপাড়া বাজার।
বি.দ্রঃ মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকার জুলাই ২০২১ সংখ্যার ‘যিলহজ্জ মাসের ফযীলত ও আমল’ শীর্ষ প্রবন্ধ হতে রেফারেন্স সমূহ সংগ্রহ করা হয়েছে।