নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সরকার পতনের পর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে। সরকারের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর, অভিযোগ উঠেছে যে কিছু সাংবাদিক পূর্ববর্তী সরকারকে সমর্থন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, যারা “গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণকে প্ররোচিত করে পূর্ববর্তী সরকারের গণহত্যায় পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে,” তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, সরকারের ইচ্ছা সাংবাদিকদের জেলে আটকে রাখা নয়, বরং সুবিচার নিশ্চিত করা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের বিরোধিতায় হওয়া বিক্ষোভে এক হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলাগুলো সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে সরকারের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ দাবি করেন।
আরও পড়ুনঃ নের্তৃত্বের নয় নীতির পরিবর্তন করতে হবে: জামাত নেতা
এদিকে, সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো, যেমন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস এবং রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের ক্ষতি করতে পারে।
সাংবাদিক নেতা এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের মামলা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। অনেকেই আশা করছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ভিত্তিহীন মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেবে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।